ইউনাইটেড এয়ারের এমডি তাসবিরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের এমডি ক্যাপ্টেন (অব.) তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অতিরিক্ত মূল্যে ২০ বছরের পুরানো তিনটি উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে কোটি ডলার বিদেশে পাচার ও শেয়ার বাজার থেকে ৪১৫ কোটি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও তিনি হাজির না হয়ে কমিশনের কাছে লিখিতভাবে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক দর থেকে বেশি মূল্য দেখিয়ে উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ কিনেছেন আন্তর্জাতিক দর থেকে অনেক বেশি দামে। উড়োজাহাজ কেনার নামে অনিয়মের মাধ্যমে তিনি শেয়ারবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকাও তুলে নিয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে, প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রাপ্ত সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ দরপত্র ছাড়াই শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের একক সিদ্ধান্তে উড়োজাহাজ কিনেছে।
দুদক সূত্র আরও জানায়, একই সময় কেনা একই মডেলের উড়োজাহাজ তারা কিনেছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। যেমন— এমডি-৮৩ মডেলের তিন জাহাজের মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৬ লাখ ডলার, ৭৬ লাখ ২০ হাজার ডলার ও ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৮০ ডলার। অন্য তিনটি মডেলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
নীতিমালা প্রণয়ন না হলেও কোম্পানির প্রয়োজনে নয়টি উড়োজাহাজ কেনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে এমডি-৮৩ মডেলের তিনটি উড়োজাহাজ। এতে ব্যয় হয় দুই কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮০ ডলার।
দুইটি এয়ারবাস কেনা হয় দুই কোটি ৬২ লাখ ৫৫ হাজার ডলারে। দুটি এটিআর উড়োজাহাজ কেনা হয় এক কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে এবং ড্যাশ-৮ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ কেনা হয় এক কোটি এক লাখ ২০ হাজার ৭৯৬ ডলারে। এ সব উড়োজাহাজ জ্বালানি সাশ্রয়ী নয়।