নেতানিয়াহুর ইরান ধ্বংসের খায়েশ অর্থহীন

ইসরাই্যলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাগাড়ম্বরের দ্বারা চিহ্নিত। ইসরাইলের মতো নিরাপত্তা নিয়ে প্রবলভাবে উদ্বিগ্ন একটি দেশে, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অস্বাভাবিক যা তা হচ্ছে, এ বিষয়ে তার বার্তা: ‘একমাত্র আমিই ইসরাইলকে রক্ষা করতে পারি’।
নির বেন আর্তজি এবং মোশে বেন টোভ প্রচার করেন, মেসিয়াহ বা মশীহ আসার পূর্ব পর্যন্ত নেতানিয়াহুকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে হবে। গত বছর ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে লুভাভিচ আন্দোলনের নেতা রেব্বি শ্নিয়ারসনের একটি বইসহ ছবি প্রকাশিত হয় যে, শ্নিয়ারসন ৩০ বছর আগে ভবিষ্যদ্বানী করে গেছেন, নেতানিয়াহু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং মেসিয়াহ অর্থ্যাৎ মশীহর হাতে তার দায়িত্বভার অর্পন করবেন। এটা ইসরাইলের যুদ্ধের উত্তপ্ত পরিবেশকে আরো উত্তপ্ত করে।
প্রবাদ আছে যে, ‘একে তো নাচুনে বুড়ি তার ওপরে ঢোলের বাড়ি’। এর সাথে যুক্ত হয় নেতানিয়াহুর পারিবারিক পরিস্থিতি।
তার ভাই ইসরাইলের জাতীয় বীর এবং পিতা রিভিশনিষ্ট জায়োনিজম অর্থ্যাৎ সংশোধনবাদী ইহুদীবাদের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। রিভিনিস্ট জায়োনিজমের মতবাদ হচ্ছে, ইহুদী স্বার্থসমূহ শুধুমাত্র শক্তির মাধ্যমেই সুরক্ষিত হতে পারে। তাই আরবদের সাথে সমঝোতা অসম্ভব এবং ঐতিহাসিক বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসব বিষয়ই নেতানিয়াহুর নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন। নেতানিয়াহু তার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে গত কয়েক বছর ধরে ইরানের পারমানবিক শক্তির অধিকারী হওয়া সংক্রান্ত হুমকির বিষয়ে জোর দিচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১০-১১ সালে নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সাথে ইরানে হামলার জন্য সামরিক প্রস্তুতি গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি নানা কারনে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপও ছিলো।
বর্তমানে ইসরাইলে এটা একটি ব্যাপক জনসম্মতির বিষয় যে, ইরানের হাতে পরমানু বোমা থাকা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। সর্বোপরি সকল বিশেষজ্ঞ এ ব্যাপারে একমত যে, নেতানিয়াহুর সরকার ইরানের পরমানু সক্ষমতাকে ধ্বংস করতে সক্ষম নয় তাদের পারমানবিক কেন্দ্রসমূহে হামলার মাধ্যমে। সরাসরি হামলা তথা স্থল হামলা ছাড়া ইরানকে পর্যুদস্ত করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button