বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন

জাতিসংঘের উদ্যোগে আরও বিপাকে মোদি সরকার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিপদ বাড়িয়ে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) হস্তক্ষেপ চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়। এ ঘটনায় দিলিস্নর দাঙ্গার পর সিএএ নিয়ে আরও বিপাকে পড়ল মোদি সরকার।

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘সিএএ একান্তভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতীয় পার্লামেন্ট যেকোনো ধরনের আইন প্রণয়নের অধিকারী। সেটা দেশের সার্বভৌম অধিকার।’ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার মঙ্গলবার ওই বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভারতের সার্বভৌম অধিকার নিয়ে কোনো বিদেশির প্রশ্ন তোলার এখতিয়ারই নেই।’

সিএএ-এর বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থা তাতেই পক্ষ নিতে চায়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত সিএএ সাংবিধানিক দিক থেকে বৈধ। এই আইন সাংবিধানিক মূল্যবোধের বাহক।’

এছাড়া সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে প্রশ্ন তুলেছে। দিলিস্ন দাঙ্গার সমালোচনা করেছে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং মালয়েশিয়া। এই পরিস্থিতিতে ‘ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংসতার’ তীব্র নিন্দা করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ভারতকে ‘কান্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা বন্ধের আর্জি’ জানিয়ে টুইটে বলেছেন, ‘আইনের শাসন ও শান্তিপূর্ণ আলোচনাই একমাত্র পথ।’

এদিকে, মঙ্গলবার জাভেদ জারিফের মন্তব্যেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি চেগেনিকে দিলিস্নতে ডেকে পাঠানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, তাকে বলা হয়েছে জাবেদ জারিফের মন্তব্য ‘অবাঞ্ছিত ও গ্রহণযোগ্য নয়’। গত ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হয় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button