গাজার রাফা অঞ্চলে ইসরাইল বর্বরতা অব্যাহত
হামাসের মুখপাত্র বাসেম নাঈম ইসরাইলকে এই বলে অভিযুক্ত করেছেন যে, ইসরাইল ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট ও সিভিল ডিফেন্স টিমগুলোর বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছে।
গাজার দক্ষিণ অঞ্চলীয় রাফা সিটিতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটন করছে। নাঈম আরো বলেন, উদ্ধারকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করা জেনেভা চুক্তির লঙ্ঘন এবং যুদ্ধপরাধ।
কারণ উদ্ধারকর্মীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন দ্বারা সুরক্ষিত। জাতিসংঘের ‘অফিস ফর দ্য কোঅরডিনেশন অফ হিউম্যানটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ এর প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইলি বিমান হামলায় নয় শতাধিক নারী শিশু ও অন্যান্য বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
ফ্লেচার এক বিবৃতিতে বলেন, মানবাধিকার আইনের মৌলিক নীতিমালা যদি এখনো আমলে নেয়া হয় তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেগুলো সমুন্নত রাখতে অবশ্যই কাজ করতে হবে।
এদিকে গাজার ভঙ্গুর যুদ্ধ বিরতি ভেঙে পড়েছে। ইসরাইল ১৮ই মার্চ থেকে ৯ শতাধিক জনকে হত্যা ও ১৩ শতাধিক মানুষকে আহত করেছে। এদের অনেকেই শিশু এবং আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো চাপা পড়ে আছে।
অনেকের প্রশ্ন, এখন কেন এসব ঘটবে এবং গাজায় হামাসের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতির অবসান ঘটানোর নেপথ্যে কি রয়েছে ?
‘কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশান্স’ ইসরাইলের প্রতি জাতিসংঘের নিন্দা জানানোকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘ ইসরাইলের এ ধরনের কাজকে বর্বর অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
কেয়ার রাফার তাল আস-সুলতানে ফিলিস্তিনি এম্বুলেন্স ক্রু ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধারকর্মী হত্যার ব্যাপারে জাতিসংঘের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
তারা বলেছে, জাতিসংঘ ও বিশ্বের দেশগুলোর উচিত নয় এসব মানবতা বিরোধী অপরাধ চলতে দেয়া।