আশাবাদী হওয়া ছাড়া আমার কি করার আছে : ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ার্সি
ঢাকা সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক সিনিয়র মন্ত্রী ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ার্সি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে যদি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে বিশ্ব সমপ্রদায়ের কাছেও তা গ্রহযোগ্যতা পাবেনা। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। যাতে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক দিনের ঝটিকা সফর শেষে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ব্যারোনেস ওয়াসির্র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন।
তিনি বলেন, আমি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধীদল বিএনপি চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে সমঝোতা চায়। তবে দুই পক্ষের যে অবস্থান আমি জেনেছি তা সমঝোতার জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু তারা সমঝোতার জন্য প্রস্তুত বলে আমি মনে করি। এটা আমাকে আশাবাদী করছে।
বাংলাদেশে এত সহিংসতা চলছে তারপরও আপনি কিভাবে এতোটা আশাবাদী এমন প্রশ্নের উত্তরে ওয়ার্সী বলেন, আশাবাদী হওয়া ছাড়া আমার কি করার আছে। প্রধান দুই দলের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। যা আসলেই আশাবাদী হওয়ার মতোই।
সাম্প্রতিক সহিংসতা সম্পর্কে সফররত যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, সহিংসতা যেকোন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। জনজীবনকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বিঘ্নিত করে। সর্বোপরি এটা বাংলাদেশের মর্যাদা হানি করছে।
সংলাপ নিয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগ সম্পর্কে ওয়ার্সী বলেন, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এই উদ্যোগকে শেষ উদ্যোগ বলেই আমি মনে করি। যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের এ উদ্যোগকে সমর্থন করে।
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফঁসির রায় কার্যকর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য কোনো মৃত্যুদন্ড সমর্থন করে না । বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে যুক্তরাজ্য সমর্থন করলেও আদালতের দেয়া মৃত্যুদন্ডকে তার দেশ সমর্থন দিবে না।
এর আগে সকালে তিনি ১ দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছান। ঢাকায় পৌঁছে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
উল্লেখ, যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রীর এটি দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা সফর। এর আগে গত এপ্রিল মাসে তিনি ঢাকা সফরে এসেছিলেন। সে সময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের তাগিদ দেন। এছাড়া তিনি সে সময় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর সাঈদা ওয়ার্সীর ঢাকায় আসার কথা থাকলেও সে সময় তার সফর স্থগিত করা হয়।