কাদের মোল্লার লাশ ফরিদপুরের বাড়িতে
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আব্দুল কাদের মোল্লার লাশ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগার থেকে ফরিদপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাসি কার্যকর করার প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে র্যাব-পুলিশ-বিজিবির পাহারায় অ্যাম্বুলেন্স বের হয়।
রাত ৪টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে লাশ পৌঁছায়। সেখানে তার জানাজা হয়েছে, দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলে ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলী জানিয়েছেন।
মাওয়া পেরিয়ে রাত ২টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি কলমীলতা মাদারীপুরের শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে পৌঁছে। ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর কাদের মোল্লার লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।
পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে বলে কাদের মোল্লার ছোটভাই মোল্লা মাঈনউদ্দিন আহমেদ জানান।
ভাষানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দিন বলেন, “কাদের মোল্লার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মা ও বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। ইউএনও’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বাড়িতে এসেছে।”
সদরপুরের ইউএনও লোকমান হোসেন বলেন, “বাড়ির লোকজনকে কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা না করলে আমরা কবর খুঁড়ে জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা নেব।”
ফাঁসির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাঈনুদ্দিন বলেন, “আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রেখেছি, আল্লাহ যা করেছেন ভাল করেছেন। এছাড়া আমাদের আর কিছু বলার নাই।”
এর আগে রাত সোয়া ১২টায় মুন্সীগঞ্জে মাওয়ায় ২ নম্বর ঘাট দিয়ে কাদের মোল্লার লাশের গাড়ি ফেরি ‘কলমীতলা’য় ওঠে।
১০টি গাড়ি নিয়ে ওই ফেরি রাত সাড়ে ১২টায় ওপারে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দির পথে রওনা হয়। ওই সময় ঘাটে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল।
ফেরির কর্মী ছাড়া আর কাউকে তখন ভিড়তে দেয়া হয়নি। নদীতে ফেরির আশপাশেও স্পিডবোটেও পুলিশের টহল ছিল।
প্রথমে ‘কনকচাপা ’ ফেরিতে এই অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয় বলে বলে লৌহজংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খালেকুজ্জামান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “কনকচাপা ফেরিটি তৈরি রাখা হলেও নানা কারণে প্রায় একই রকম অপেক্ষাকৃত নতুন ফেরি কলমীলতাকে নির্বাচন করা হয়।”
রাত সাড়ে ১২টায় ফেরি ছাড়ার পর ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনি শিথিল করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামও ঘাটে ছিলেন।