কাদের মোল্লা কি সত্যিই কসাই কাদের ?

Enamএনাম চৌধুরী :
গোলাম মাওলানা রনি এমপিকে সবাই চেনেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন তুরুণ সংসদ সদস্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটার, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অত্যন্ত ব্যস্ত এক তরুণ সংসদ সদস্য। সংবাদ পত্রের লিখনি, ফেইসবুকের স্ট্যাটাস এবং টেলিভিশন টকশোর জনপ্রিয় এ তুরুণ সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর একজন বিত্তশালী উপদেষ্ঠার শেয়ার বাজার কেলেঙ্কাকারী নিয়ে সমালোচনা করে দেশে-বিদেশে রীতিমত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন। যার ফলশ্র“তিতে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হয়েও দরবেশ বাবা খ্যাত ঐ উপদেষ্ঠার মালিকানাধীন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের দুজন সাংবাদিককে মারধর করার দায় নিয়ে জেলে যেতে হয়।
সংসদ সদস্য গোলাম মাওলানা রনি যেভাবে থাপ্পর ও লাথি দিয়েছেন সে ঘটনার ভিডিও চিত্র ভার্চুয়াল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলে। ঘটনাটি খুব ছোট বা বড় যাই বলি না কেন, সংসদ সদস্য রনির মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন ব্যবহার কখনো আশা করিনি এবং করবোও না। স্পষ্ঠবাদী রনির জন্য হাতের চেয়ে কলম এবং মুখের সত্য উচ্চারণগুলোই উপযুক্ত অস্ত্র। তবে রনির মারধরের শিকার দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে ভিডিও ফুটেজ সহ প্রচারিত সংসদে দেখা গেলো তাদের ভাষায় ‘মুমুর্ষ অবস্থায়’ হাসপাতালের ব্যাডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন !! কিন্তু তাদের সেই মুমুর্ষ যন্ত্রণা কাতর লোকগুলোকে দেখা গেলো অনেকের সাথেই কথা বলে যাচ্ছেন তারা ! প্রশ্ন হলো ‘মুমুর্ষ’ মানুষ কিভাবে সহকর্মী-স্বজনদের সাথে কথা বলে ?
এমপি রনির আচরণ আমার মনে সেদিন ক্ষোভের সঞ্চার করলেও ‘জাতির বিভেক’ খ্যাতি নিয়ে আমাদের মিডিয়া ওয়ালাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার দেখলে এদের প্রতি সত্যিই হৃদয়ের গহীন থেকে ঘৃণা হয়। মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে হয়, এমপি রনি খুব খারাপ কাজ করেন নি ? কিন্তু কোন ভদ্রলোকের আচরণ এ রকম হওয়া উচিত নয় বিধায় সাংবাদিক মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।
১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিলো, তখন ফেনীতে প্রথম আলোর প্রতিনিধি তরুণ সাংবাদিক টিপু সুলতানকে নির্মম হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন। টিপু সুলতান দীর্ঘদিন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। কিন্তু জয়নাল হাজারীর ছায়াও স্পর্শ করতে পারেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকার দলীয় এমপি নেতা, পাতি নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেই সাংবাদিক নির্যাতন, হুমকী-ধমকী দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পারও এদের ছায়াও মাড়ায়নি দেশের কোন আইন ! কক্সবাজারের যদি নামে এক সরকার দলীয় এমপির হাতে শুধু সাংবাদিকই নন সিটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত মারধরের শিকার হয়েছেন কিন্তু বাদির কিছুই হয়নি। কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে ‘ইয়াবা’ নামক মরণ নেশা আমদানী এবং সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে বার বার সংবাদ পত্রে শিরোনাম হয়েছে, সেই বদি নামে বদর এমপি শুধু বহাল তবিয়তেই থাকেন নি, তিনি ফের এমপির মনোনয়ন পর্যন্ত পেয়েছেন !!
আওয়ামীলীগ কাকে মনোয়ন দিয়েছে সেটার প্রতি শুধু একজন সচেতন মানুষ হিসেবেই নয়, মিডিয়া কর্মী হিসেবেও আমার সতর্ক দৃষ্টি ছিলো ? তবে যাদের মনোনয়ন দিয়েছে তাদের মধ্যে শামীম ওসমানের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসী গডফাদারের নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির অসৎ নায়কদের নতুন করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর লাইসেন্স প্রদান ছাড়া আর পেছনে কোন কারন আছে বলে মনে হয় না। শামীম ওসমান কি সেটা আমাদের মিডিয়াওয়ালা এতো বেশী জানার পরও শুধুমাত্র তারা স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন করতে শামীম ওসমান, বদীর মতো চোরাকারীদের মনোয়নপত্র দিয়ে পুরুস্কৃতই করা হলো।
Letterআজকের লেখাটির প্রসঙ্গ শুরু করেছিলাম সংসদ সদস্য গোলাম মাওলানা রনির বিষয় সম্পর্কে। বুধবার রনি তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ছোট্ট একটি লেখা লিখেন। ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি’ শিরোনামের ঐ লেখাটি সামাজিক এ যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত তোফান বইয়ে দেয়। পরবর্তীতে দেখা গেলো বৃহস্পতিবারের প্রায় অনেক জাতীয় দৈনিকে ঐ লেখাটি স্থান করে নেয়। গোলাম মাওলানা রনি জেলে থাকার সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে লেখায় সমৃদ্ধ ঐ ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি (রনি) জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল কাদের মোল্লার দেয়া একটি ছোট্ট চিরকোটের কয়েকটি লাইন লিখে উল্লেখ করেন, যাতে লেখা ছিলো- ‘প্রিয় রনি, যদি কখনো সময় পাও এবং তোমার ইচ্ছা হয় তবে আমার ফাঁসির পর একবার হলেও বলো বা লিখো- কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক ব্যক্তি নয়। আমার আত্মা কিয়ামত পর্যন্ত কাঁদবে আর কসাই কাদের তখন কিয়ামত পর্যন্ত অট্টহাসি দিবে।’
রনিকে দেয়া জামায়াত নেতার কাদের মোল্লার চিরকুটটির বিষয়ে কথা না বাড়িয়ে যে কয়েকটি প্রশ্নের কোন জবাব আজ পর্যন্ত কেউ দেয়নি সেটা জানতে বড় বেশী ইচ্ছে করে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার প্রতিবেদন প্রকাশ পেলো, সেখানে দেখা গেলো জামায়াতের এ নেতার নামের সাথে ‘কসাই কাদের’ নামটি যোগ হয়েছে। এনিয়ে হলো নানা বিতর্ক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বললেন, রাজধানী মিরপুর এলাকায় কাদের মোল্লা শত শত মানুষ হত্যা করেছেন। এছাড়া ধর্ষন, লুটপাট, ধর্মান্তরীণ, অগ্নি সংযোগ সহ জঘন্য নানা কর্মের দ্বারা তিনি মৃত্যুদন্ড যোগ্য অপরাধ সংগঠিত করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত কাদের মোল্লার পক্ষের আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ দাবী করে নানা তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণের চেষ্ঠা করলেন জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা এবং কসাই কাদের এক ব্যক্তি নয়। শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারনে তাদের মক্কেলকে হয়রানী করা হচ্ছে। আদালতে উভয় পক্ষের নানা যুক্তি-তর্কের পর ট্রাইব্যুনাল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করলো।
এদিকে যেদিন মোল্লার মামলার রায় দেয়া হলো এদিন সন্ধ্যার দিকে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে রংপুর মেডিকেলের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাঃ এমরান এইচ সরকার নামের এক বিতর্কিত তরুণের নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। মিডিয়া ওয়ালাদের বদৌলতে শাহবাগের ঐ স্থানটির নতুন নাম পেয়ে যায় প্রজন্ম চত্ত্বর আর সেই সাথে কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ। মাঝে মাঝে তাদের ভাষায় কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবী হয়ে উঠে বালাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের দাবী !!
শাহবাগ চত্ত্বরে ঐ আন্দোলনকারীরা দিনরাত গান-বাজনা, আমোদ-ফূর্তির মাধ্যমে ফাঁসী-ফাঁসী-ফাঁসী চাই শ্লোগানে মুখরিত করলো। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা হলো। ফাঁসী চাই মিছিলের উল্লাসের চিত্র দেখতে প্রায় ছুটির ভিড় বাড়তে থাকলো উৎসুক জনতার। কার মনে কি সেটার খবর নাই, সবাই নাকি শাহবাগে যায় ফাঁসীর দাবী নিয়ে।
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার ঐ শাহবাগী দাবী করলো আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসী না হলে তারা তাদের কথিত প্রজন্ম চত্ত্বর ছাড়বে না ? সরকার তখন এমন এক ভাব করলো যেন তারা অসহায়। বিচারতো শেষ এখন কি করা ? ওরা দাবী করেছে ফাঁসী, কিন্তু ফাঁসী যে দেবে সেটার আর তখন সুযোগ নেই। শুরু হলো দৌঁড়-ঝাঁপ। শেষে আইন সংশোধন করা হলো। উল্লাসে ফেঁটে পড়লো যেন শাহবাগ। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের উচ্চ আদালতে আপিল করলো এবং আপিলের রায়ে তারা ফাঁসী আদায় করেই ছাড়লো ?
মহা বিজয়ের উল্লাসে ধুম-ধাম করে মিষ্টি বিতরণ করা হলো। কাদের মোল্লার রায়ে উল্লেখ না থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা এ রায়ই চূড়ান্ত এবং সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। আসামী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন কিন্তু কোন ‘রিভিউ’ করার আইনত সুযোগ নেই !
বাংলাদেশ কোন পৃথিবীর বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এমন কোন আদালত নেই যেখানে রিভিউ করা যাবে না। যত বড় অপরাধী হোক, সকল রাষ্ট্রই নাগরিকের সংবিধানিক অধিকার রয়েছে, আদালতে গিয়ে সেটা চাইতে পারে। কিন্তু ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ নাম দিয়ে এমন এক বিচার করা হলো যেখানে কোর্ট মৃত্যুদন্ড প্রদানের রায় দিয়ে সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিলো সরকারের উপর। রায় লেখা শেষ হলো। তবে তার আগের দিন (রায় প্রকাশের) এটর্নি জেনারেল সংবাদ মাধ্যমে পরদিন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে বলে জানালেন এবং এর পরই সরকার ফাঁসীর রায় বাস্তবায়ন করবে বলে জানান দিলেন। দেখা গেলো যে দিন রায় প্রকাশ হলো ঐদিন যুদ্ধারপাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিষ্টার তড়িগড়ি করে রায়ের কপি একটি ট্যাংকে করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দিলেন। এখানে প্রশ্ন হলো বিচার করলো সুপ্রীম কোর্ট এবং সুপ্রীম কোর্ট বলে দিয়েছে এ রায় বাস্তবায়ন করবে সরকার। তবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিষ্টার কোন আইনের বলে সুপ্রীম কোর্টের  রায় বহন করে জেলে পৌঁছে দিলেন ?
রায় পৌছার পর শুরু হলো ফাঁসী বাস্তবায়নের তৎপরতা। আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবীরা বললেন, তারা রিভিউ করবেন, কিন্তু রাষ্ট্র পক্ষ থেকে জানানো হলো এটা আইনে নেই। প্রেসিডেন্ট এর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু আসামী পক্ষ থেকে জানানো হলো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবো না !! ঐদিন আইন প্রতিমন্ত্রী এবং এডভোকেট কামরুল এবং স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী টুকু সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন ফাঁসীর আদেশ কখন বাস্তবায়িত হবে !!
এদিকে জেল সুপার কাদের মোল্লার পরিবারের কাছে জরুরী লাল চিঠি পাঠালেন শেষ সাক্ষাতের জন্য। ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসী কার্যকর হবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলো। লাশ বহণের প্রয়োজনীয় গাড়ী প্রস্তুত রাখা হলো। পাঁচজন জল্লাদ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আব্দুল কাদের মোল্লা তাঁর স্ত্রী, সন্তান, স্বজনদের কাছ থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেছেন। দেশবাসীকে শেষ বিদায় জানিয়ে স্ত্রীর মাধ্যমে ম্যাসেজ দিলেন, ‘আমি নিরাপরাধ এবং কসাই কাদের নই, আমাকে রাজনীতির কারনে খুন করা হচ্ছে।
হঠাৎ রাত সাড়ে ১০টায় আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাজ্জাক এবং সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন জানালেন তার চেম্বার জজের সাথে সাক্ষাৎ করে পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রায় কার্যকর স্থগিত করা হয়েছে। কারাগারে আদেশের কপি পৌঁছামাত্র সব চিত্র পাল্টে যায়। পরদিন বুধবার এবং ১২ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শুনানী শেষে দুপুরে প্রধান বিচারপ্রতির নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রীমকোর্টের এবং রিভিউ খারিজ করে দেয় এবং তার মাধ্যমে কাদের মোল্লার ফাঁসীর রায় কার্যকরে আর কোন বাঁধা রইলো না। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার যে কোন সময় রায় বাস্তবায়ন করবে।
এমপি গোলাম মাওলানা রনিকে দেয়া চিরকুটে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা লিখে ছিলেন, তিনি কসাই কাদের নন। কাদের মোল্লার এমন দাবী এবং যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বাক্ষীদের জবানবন্দী আমার কাছে মনে হয়েছে মিথ্যাচারের শেষ চলছে ট্রাইব্যুনালে। দেখা গেছে স্বাক্ষীদের কেউই বলেনি কোন ঘটনার সে নিজে প্রত্যক্ষদর্শী। শোনা কথার ভিত্তিতেই তারা স্বাক্ষী দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো এতো বড় যুদ্ধারাধী ব্যক্তি কিভাবে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে অনার্স, মাস্টার্স লাভ করে স্বর্ণপদক লাভের জন্য মানোনীত হয়েছিলেন ? তিনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করলেন ?
কসাই কাদের কি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক এবং রাইফেলস্ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করলেন ?
কসাই কাদের কিভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেন ?
যে লোক এতো বড় ক্রিমিনাল সে সিভাবে রাষ্ট্রের এতো বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলো, শিক্ষকতা করলো পাশাপাশি সাংবাদিকতাও ???
কে দেবে এ প্রশ্নের জবাব। আর ফাঁসীর আদেশ বাস্তবায়ন হলে কি অবস্থা দাঁড়াবে দেশের ?
গণজাগরণ মঞ্চের হাতে গোনা শ’খানেক লোকের দাবীকে জনদাবী আখ্যা দিয়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে জঘন্য খেলা হলো আমি নিশ্চিত আওয়ামলীগ এর মাশুল একদিন দেবে ???
লন্ডন ১২ ডিসেম্বর ২০১৩
লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সম্পাদক দ্যা সান রাইজ টুডে ডট কম

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button