অবশেষে ইইউর সঙ্গে চুক্তিতে রাজি ইউক্রেন
অবশেষে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন। এদিকে দেশটির সরকারকে চলমান বিক্ষোভ দমনে দমনপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যথায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
ইইউর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক চুক্তি করতে অস্বীকার করায় প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা। সপ্তাহ খানেক ধরে তারা রাজধানীর স্বাধীনতা স্কয়ার দখল করে রেখেছে। গত বুধবার ভোররাতে তাদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় দাঙ্গা পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বাহিনী।
অব্যাহত বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে পুলিশ যে অভিযান চালাচ্ছে, তা ‘অগ্রহণযোগ্য’।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন জানান, কয়েক দিন ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত নমনীয় হয়েছেন ইয়ানুকোভিচ। তিনি ইইউর সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চুক্তির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কবে তা হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
কিয়েভে ইইউপন্থীদের বিক্ষোভের কারণে মস্কো মনে করছে, ইইউ-ইউক্রেন বাণিজ্য চুক্তি হলে দেশটিতে রাশিয়ার বাজার নষ্ট হবে। এ কারণে রুশ কাস্টমস ইউনিয়নে বেলারুশ ও কাজাখস্তানের সঙ্গে ইউক্রেনকে যুক্ত করতে চাইছে রাশিয়া।