লালমনিরহাটে পাটগ্রাম শিবির সভাপতিসহ ৪ জন নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কাফির বাজার এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়কে পুলিশের গুলিতে উপজেলা শিবির সভাপতিসহ তিনজন এবং সংঘর্ষে আরো একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার লালমনিরহাট জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
নিহতরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মনি (২৪), শিবিরের সাথী সাজু (২৫), জামায়াতকর্মী আবদুর রহিম (৫০) ও পাটগ্রাম পৌরসভা যুবলীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মিন্টু (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাফির বাজার এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা পিকেটিং করার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে মমিনুল ও আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে এবং সাজু রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যোগ দিলে সংঘর্ষ ব্যপক আকার ধারণ করে। এ সময় যুবলীগ নেতা মন্টু গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান তিনি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পাটগ্রাম থানার এএসআই আশরাফ জানান, সকাল-সন্ধ্যা হরতালের শুরুতেই কাফির বাজার এলাকায় একটি ট্রাকসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন দেয় জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা। এতে বাধা দিলে পুলিশের দিকেও তারা ককটেল ছুড়ে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লালমনিরহাট জেলা শিবিরের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার লালমনিরহাট জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় জামায়াত।