জামায়াতের হরতাল : ৬ জেলায় নিহত ১১
পুলিশের গুলি, ব্যাপক সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে এ হরতালের ডাক দেয়া হয়। হরতাল চলাকালে লালমনিরহাটে তিন জামায়াত-শিবিরকর্মী ও এক যুবলীগ কর্মী, জয়পুরহাটে পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াত-শিবিরসহ তিনজন এবং নারায়ণগঞ্জে অপর এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া, লক্ষ্মীপুরে দূর্বৃত্তদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত, সাতক্ষীরা নিখোঁজ জামায়াতকর্মী ও যশোরের চৌগাছায় অপহৃত বিএনপিকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
লালমনিরহাটে নিহত ৪
পাটগ্রাম উপজেলার কফির বাজারে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা শিবির সভাপতিসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মনি (২৪), শিবিরের সাথী সাজু (১৮) ও জামায়াতকর্মী আবদুর রহিম (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল সোয়া ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল, নিক্ষেপ করে পিকেটাররা। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিবিরকর্মী আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে নিহত হন। উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অপর তিনজনকে পাটগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিতসাধীন অবস্থায় শিবির সভাপতি মনি ও শিবিরকর্মী সাজু মারা যান।
এ ঘটনার জের ধরে বেলা ১১টার দিকে শেরোয়ার বাজারস্থ পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক লাভলুর বাড়িসহ ২ বাড়িতে আগুন দেয় জামায়াত শিবিরকর্মীরা। পরে দুপুর ১ টার দিকে মিন্টু মিয়া (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে পুলিশ ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৩০ রাউন্ড চায়না গুলি ও ১ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
জয়পুরহাটে জামায়াত-শিবিরের ২ কর্মীসহ ৩ নিহত
জয়পুরহাটে জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক শিবিরকর্মী ও এক জামায়াতকর্মী নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার পুরানপুল ইউনিয়নে রোববার বিকেল ৪টার দিকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা রাস্তায় নেমে মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে পুলিশ-গ্রামবাসী ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শিবিরকর্মী শামীম নিহত হন। এছাড়া, জামায়াতকর্মী ফিরোজ হোসেন ও এহসান আলী নামে এক ব্যক্তি হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। ফিরোজ হোসেন পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার বিকেল ৪টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জয়পুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জে আহত শিবিরকর্মীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে রাসেল নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। হরতালের সমর্থনে রোববার সকালে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় মিছিল করার সময় পুলিশের গুলিতে তিনিসহ দুই কর্মী আহত হন। পুলিশ তাদেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করলে বিকেলে রাসেল মারা যান।
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা নিহত
লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় রোববার বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে স্বজনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি রায়পুরের দেনায়েতপুরে যাচ্ছিলেন। তারা কেরোয়া ইউনিয়নের ভাটেরপোল এলাকায় পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মিরাজ মারা যান। মাসুদ আলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থায় আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিতসক বাহারুল আলম জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আলাউদ্দিন দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে শিবির ক্যাডাররা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
রায়পুর থানার ওসি তদন্ত নাছিরুজ্জামান জানান, দুর্বৃত্তরা ছাত্রলীগের দু’জনকে কুপিয়ে আহত করেছে। এদের মধ্যে একজন মারা যায়। তবে ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরায় জামায়াত কর্মীকে গুলি করে হত্যা
সাতক্ষীরার সদরের কুচপুকুর এলাকার জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমান হবিকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ের সময় শহরের কদমতলা বাজারের পাশে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। তার বুক ও মাথার একাধিক স্থানে গুলির ক্ষত রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত তিন দিন ধরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল খুলনার ডুমুরিয়া থেকে তাকে র্যাব আটক করেছে বলে মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে জানানো হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এর আগে একই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা খুনের ঘটনায় জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমান হবিকে (৩৫) প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। নিহতের স্ত্রী খাদিজা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা খুনের ঘটনায় প্রতিপক্ষের যোগসাজশে র্যাব তার স্বামীকে হত্যা করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সকালে কদমতলা মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি।
যশোরে অপহৃত বিএনপি কর্মীর লাশ উদ্ধার
যশোরের চৌগাছায় আলমগীর নামে অপহৃত এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আলমগীর উপজেলা সদরের কলেজ পাড়ার সাকা ব্যাপারীর ছেলে।
রোববার সকালে চৌগাছা থানা পুলিশ স্থানীয় টালিখোলা রাস্তার পাশের বিলের একটি ঝোঁপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানিয়েছেন, নিহত আলমগীর কোনো দলের কর্মী নয়।
রাজশাহীতে শিবির-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিবিরের দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল সোয়া ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে নগরীর বিনোদপুর, অক্ট্রয় মোড়, কাজলা গেট ও মিতা স্টুডিও-এর সামনে থেকে এক যোগে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির কর্মীরা। এ সময় তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবারবুলেট ছোড়ে। পাল্টা তারাও চারটি স্পট থেকে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে শিবিরের দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়।
সিরাজগঞ্জে বেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলেছে জামায়াত-শিবির
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবির কর্মীরা দু’টি বেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলেছে। এ ছাড়া মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুর করে তারা।
রবিবার সকালে জেলার যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড় মুলিবাড়ী রেলগেট সংলগ্ন বাঁঐতারা বেইলি ব্রিজ ও কড্ডার মোড় সংলগ্ন কোনাগাঁতী ব্রেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলে হরতালকারী জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ এবং ১০/১২টি যানবাহন ভাংচুর করা হয়।
চাঁদপুরে ৩টি গাড়ি অগ্নিসংযোগ
জেলায় একটি যাত্রীবাহীবাস, একটি পিকআপভ্যান ও একটি অটোরিকশায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। রবিবার ভোরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় এ হামলা চালায় তারা। এ ছাড়া চাঁদপুর শহরের হোটেলসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।
মেহেরপুরের ৬ স্থানে জামায়াত-শিবিরের অবরোধ
জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে জেলার বিভিন্ন সড়কের ৬টি স্থান অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা। রবিবার সকাল থেকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পোড়াপাড়া ও ছাতিয়ান, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর মোড় ও গৌরিনগর এবং মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েম কাটার মোড়ে বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
শনিবার গভীর রাত থেকেই তারা রাজনগরে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। কায়েম কাটার মোড়ে অবরোধকালে ৭/৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান হরতালকারীরা।
স্লিপার তুলে ফেলায় রংপুরের ৫ জেলায় ট্রেন চলাচল বন্ধ
রেলের স্লিপার তুলে ফেলায় রাজধানীর সঙ্গে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার সঙ্গে রবিবার ভোর থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। হরতাল শুরুর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিবিরকর্মীরা রংপুরের পীরগাছা উপজেলার শুকান পুকুর কুকড়া ভাঙ্গা এলাকায় রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা এবং কুড়িগ্রামের সঙ্গে রাজধানীর রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে মধ্যরাত থেকে রেলের অপেক্ষামান যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। কয়েকটি স্টেশনে রয়েছে ঢাকাগামী শত শত যাত্রী।
রাজধানীতে হরতাল চিত্র
কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল ও অবরোধ করে ছাত্রশিবির। সকাল সাড়ে আটটায় শাখা সভাপতি রাশেদুল হাসান রানার নেতৃত্বে একটি মিছিল বাসাবো এলাকায় বের হয়। মাদারটেক এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেলে পুলিশ তাদের প্রতিরোধে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় ছয় জন আহত ও পাঁচজনকে আটক করেছে বলে দাবি করেছেন শিবিরনেতা রাশেদুল হাসান। এছাড়া মুগদা, লালবাগ, খিলগাঁও এলাকায় মিছিল বের করে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে শিবিরকর্মীরা।
সকাল সাড়ে সাতটায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে শিবিরকর্মীরা। সকাল আটটায় পুলিশ হামলা চালিয়ে তিন জনকে আহত ও দুই জনকে আটক করে বলে দাবি ঢাকা দক্ষিণ শিবির সভাপতি শাহিন আহমেদ খানের।
ঢাকা কলেজ শাখা শিবির সকাল নয়টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালের সামেনে একটি মিছিল বের করে। নেতৃত্বে ছিলেন শিবিরনেতা সালাহউদ্দিন আইয়্যুবি। পুলিশের উপস্থিতি টের পরে কিছু পর তারা আশপাশের অলিগলি দিয়ে পালিয়ে যায়। একই সময় সুত্রাপুর এলাকায় মিছিল বের করে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। শাখা সেক্রেটারি খালেদ মাহমুদ মিছিলটির নেতৃত্বে ছিলেন। সুত্রাপুর থানার পাশ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি এগোতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এতে পুলিশের গুলিতে দুই জন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিয়ে এক জনকে আটক করে পুলিশ।
খালেদ মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক দাইয়ান সালেহিনের নেতৃত্বে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলাবাজার মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সামনের দিকে এগুতে থাকলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। শিবিরকর্মীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছুঁড়লে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শিবিরকর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া, যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, ধনিয়া, ধলপুর, দয়াগঞ্জ, রায়েরবাগেও ঝটিকা মিছিল বের করে শিবির।
বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াতের সহকারী সেক্রটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় দলটি। জামায়াত বলছে, সরকারের পরিকল্পনায় কাদের মোল্লাকে ‘নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা’ করা করা হয়েছে এবং এরই প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি।