সারা দেশে ব্যবসায়ীদের সাদা পতাকার মিছিল
রাজপথে নেমে ঐক্য ও রাজনৈতিক সমঝোতা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য নিরাপত্তার দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে ‘সাদা পতাকা’ নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা। ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচিকে বলছেন প্রতিবাদ-বন্ধন। রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে দুই নেত্রীর বাসার সামনে অবস্থানের হুমকি দিয়েছেন তারা।
রোববার সকাল ১১টায় তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবনের সামনে মানববন্ধনের পর ব্যবসায়ীদের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শেষ হয় মতিঝিলের এফবিসিসিআই ভবনের সামনে গিয়ে।
একই সময়ে সাদা পতাকা হাতে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরেও মিছিল হয়।
এফবিসিসিআই ভবনের সামনে এক সমাবেশে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রধান দুই দলের কাছে একটা বার্তা গেল। আমরা বলতে চাই, ব্যবসায়ীরা শান্তি চায়। শান্তি প্রতিষ্ঠা না হলে ব্যবসায়ীরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, দুই দল সমঝোতায় এলে জাতির জন্য শান্তি আসবে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানও সম্ভব হবে। আমরা হরতাল-অবরোধমুক্ত বাংলাদেশ চাই, আমরা সবার জন্য শান্তি চাই, সব সহিংসতার অবসান চাই।
হরতাল-অবরোধেও সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে জানিয়ে সরকারের কাছে নিরাপত্তা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
কাজী আকরাম বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অনেকেই ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারছেন না। কোনো ব্যবসায়ী ঋণের কিস্তি শোধ করতে ব্যর্থ হলে আপাতত তাকে ঋণখেলাপী ঘোষণা না করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ব্যাবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, কাভার্ড ভ্যান ট্রাক পণ্যপরিবহন মালিক সমিতি ও গার্মেন্টস এক্সিকিউভ অ্যাসোসিয়েশনও কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপকি এ কে আজাদ বলেন, পণ্যবাহী ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। আপনারা (হাসিনা-খালেদা) ব্যবসায়ী পরিবেশ সৃষ্টি করেন। সাদা পতাকার শান্তির দাবি জানানোর পর সমাধান না হলে দুই নেত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান নেয়া হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হবে।
আনিসুল হক বলেন, ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নয়, দোকানে থাকার কথা। চারিদিকে লাশের মিছিল। এ দেশে প্রতি পাঁচ বছরে ইতিহাস বদল হয়। এভাবে ১৬ কোটি মানুষের ৫৪ হাজার বর্গমাইলকে জিম্মি করবেন না। দ্রুত আলোচনা বসে সমাধান করুন।
এ ছাড়া এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।