‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’
সবচেয়ে বড় ‘মানবপতাকার’ বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এই মানবপতাকা তৈরি করেন ২৭ হাজার ১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবী। এখন অপেক্ষা গিনেস বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের।
‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামে মোবাইল অপারেটর রবির এই আয়োজনের কৌশলগত অংশীদার ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর আগে সবচেয়ে বড় মানবপতাকার রেকর্ড ছিল রাশিয়ার।
২০১৩ সালের ৮ জুলাই রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে ২৬ হাজার ৯০৪ জন মানুষের তৈরি মানবপতাকাটি রেকর্ড ভেঙে দেয় পাকিস্তানের। ২০১২ সালের অক্টোবরে পাঞ্জাব ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে ২৪ হাজার ২০০ জনের মানবপতাকা তৈরি করে রেকর্ড বইয়ে স্থান করে নিয়েছিল পাকিস্তান। তার আগের রেকর্ডটি ছিল হংকংয়ের। ২১ হাজার ৭২৬ জনের মানবপতাকা তৈরি করেছিল হংকং।
সোমবার সকাল থেকেই রেকর্ড ভাঙা আর গড়ার এই অনুষ্ঠান দেখতে প্যারেড স্কয়ারে হাজির হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা একটা ৩৫ মিনিটে। মানবপতাকা তৈরির রেকর্ড গড়ার পর বেলা একটা ৪৩ মিনিটে উল্লাসে ফেটে পড়েন অধীর অপেক্ষায় থাকা সর্বস্তরের মানুষ। আবার বিজয়ের গর্জনে মুখরিত হয় জাতীয় প্যারেড স্কয়ার।
কলেজপড়ুয়া এই দুই তরুণ বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। বিজয় দেখিনি। কিন্তু আজকের এই বিজয়ের সাক্ষী হতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।’
লালবাগের ব্যবসায়ী তারেক মাহমুদ এসেছিলেন সপরিবারে। তিনি বলেন, ‘দুই ছেলেমেয়েকে স্বাধীনতার গল্প শুনিয়েছি অনেক সময়। আজ মানবপতাকার এই রেকর্ড অনুষ্ঠানে নিয়ে এসে তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও শাণিত করতে চেয়েছি।’
‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামের রেকর্ড গড়া এই অনুষ্ঠানের মূল অংশে ২৭ হাজার ৭১৭ জন অংশ নিলেও এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন প্রায় আট হাজার। বাকিরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন রবির প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আফজাল হোসেন ও অপি করিম। অনুষ্ঠানের আগেও পরে বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।