জামায়াত-আওয়ামী লীগ সমঝোতা
মো.নাসিম উদ্দীন নাসিম: অসাধ্য সাধন করেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিএনপি। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে সমঝোতার করেছে তারা! যে সমঝোতার আওতায় উপজেলার আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এই মর্মে একমত হয়েছে যে, দলীয় কর্মসূচি পালনের নামে কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারবে না। কোনো রকম ভাঙচুরও করতে পারবে না। শান্তিপূর্ণ পন্থায় সম্পন্ন করতে হবে সব কর্মসূচি।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই চাঞ্চল্যকর সমঝোতা। তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সমঝোতা-সভা নাটোরের ‘টক অব দ্য টাউন’ হয়ে উঠেছে।
সমঝোতার আওতায় দল দুটি কয়েকটি বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। যেমন- সারা দেশে যাই হোক না কেন, লালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ-জামায়াত ভাই-ভাই -এর মতো বসবাস করবে। নিজ নিজ দলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার পাশাপাশি কোনো প্রকার অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনা ঘটবে না।
সেই সাথে সিদ্ধান্ত হয় যে, রাস্তা অবরোধ, সরকারি গাছ কাটা এবং সহিংস ঘটনা থেকে বিরত থেকে প্রশাসনের অনুমতি সাপক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।
সমঝোতা বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব হোসেন ঝুলফু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান হোসেন, তায়েজ আলী এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে শূরা সদস্য অধ্যাপক তাসনীম আলমের প্রতিনিধি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব, উপজেলা জামায়াতে আমির মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি আবুল কালাম, ছাত্রশিবির সভাপতি হামিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল ইসলাম ও লালপুর থানার (ওসি) মতিউর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে জামায়াত নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জামায়াতকর্মীদের মারপিট করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াতকর্মীরা বিলমাড়িয়া চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিন্টুর বাসভবন দুইদিন ধরে ঘেরাও করে রাখে এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও বাসভবন ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ”এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচজন করে প্রতিনিধি নিয়ে আমি সমঝোতা বৈঠকের ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না।”