স্বাধীনতাকে খর্ব করে আবার গোলামীর জিঞ্জির পরানোর পাঁয়তারা চলছে : মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ

খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা আল্লাহ প্রদত্ত বড় নেয়ামত। স্বাধীনতা কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের অর্জন নয়। এদেশের মানুষকে আবার গোলামীর জিঞ্জির পরানোর জন্য নাস্তিক্যবাদি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে বিদেশিদের ডেকে আনার পাঁয়তারা করছে। ইসলামবিদ্বেষী মহল মুসলমানদের ঈমান ও কৃষ্টি-কালচার ধ্বংস এবং এদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছে। ধর্মপ্রাণ দেশপ্রেমিক জনতা তা সফল হতে দেবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের জাতীয় দলিল সংবিধানের কুখ্যাত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আল্লাহর হক ও তার বান্দা জনগণের হক নষ্ট করে চলেছে। তাদের অযোগ্যতার কারণে গোটা দেশ আজ মহাশ্মশানে পরিণত হয়েছে। তিনি এই অবস্থা থেকে উত্তরণে দেশবাসীকে তওবা ইস্তেগফারপূর্বক চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ’৪৭ ও ’৭১-এর মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
গতকাল শনিবার বিকেলে কামরাঙ্গীর চর নুরিয়া মাদরাসার কনফারেন্স হলে দলের ঢাকা মহানগরীর আয়োজনে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন দলের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান, নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা সোলায়মান নোমানী, ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আঃ হান্নান আল হাদী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মুহাম্মাদ আজম খান, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী ও মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ বাশার প্রমুখ।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, স্বাধীনতার নামে দেশবাসী নতুন মানচিত্র পেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও অধিকার পায়নি। স্বাধীনতার স্বাদ অর্জন করতে হলে দেশে ইসলামী হুকুমাতের কোন বিকল্প নেই। তিনি মুসলমানদের ঈমান ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, বর্তমান সরকারের খুন, গুম, জুলুম-নির্যাতন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। জনগনের ওপর আগে জুলুম-নির্যাতন করতো পাকিস্তানিরা আর এখন করছে আওয়ামী মহাজোট সরকার। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪২ বৎসর পর যুদ্ধাপরাধীর প্রশ্নবিদ্ধ বিচার কার্যকর এবং তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করে সরকার দেশের মধ্যে অরাজকতা ছড়িয়ে দিয়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে। দেশবাসী এই ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না।
আলোচনা সভা শেষে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button