মুসলিম বিশ্বে স্বৈরতন্ত্রের পেছনে পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের মোড়লদের ভূমিকা

খান শরীফুজ্জামান:
১.
২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের গণঅভ্যুত্থানকে গণতন্ত্রের বসন্ত, আরবদের বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত অর্জন ইত্যাদি নানা নামে অভিহিত করেছিল পশ্চিমা পুঁজিবাদী বিশ্ব। বিশ্বে যা কিছু ভালো অর্জন, সবই তারা গণতান্ত্রিক চেতনার নামে চালিয়ে দেয়। এক বছরের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানে মিসরে বিশ্বস্বীকৃত প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। প্রেসিডেন্টের পক্ষে-বিপক্ষে কয়েক দিন ধরে চলা বিক্ষোভের পর সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটায়। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতি আদলি মানসুরকে মিসরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশটির সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে এবং সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল আল ফাত্তাহ আল সিসি দেশে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এর আগে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের দখল নেয় সেনাসদস্যরা। বন্ধ করে দেয় মুরসি সমর্থক গণমাধ্যমগুলোকে।
দুই বছর আগে কায়রোর তাহরির স্কয়ারে তরুণদের উত্তাল গণআন্দোলন গোটা মিসরে ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। অবসান ঘটে তার তিন দশকের স্বৈরশাসনের। তার ক্ষমতার উত্সও ছিল মূলত সেনাবাহিনী। মোবারকের পতনের পর ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ হুসেন তানতাবির নেতৃত্বে সামরিক পরিষদ ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর দু’দফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের জুনে সরকার গঠন করে মুরসির দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি। দলটির সঙ্গে মিসরের শক্তিশালী ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, আমেরিকা সমর্থিত সেনাবাহিনী কখনোই যাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেনা ও সেক্যুলার দলগুলোর সমর্থিত প্রার্থী আহমদ শফিককে হারিয়ে ৫১ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ড. মুরসি। এর আগে প্রথম বারের মতো গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি পার্লামেন্টের ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ, অর্থাত্ ২৩৫টি আসন লাভ করে। ইসলামপন্থী অপর রাজনৈতিক দল আল নূর পার্টি ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ, অর্থাত্ ১২১টি আসন লাভ করে। সেক্যুলার দলগুলো সম্মিলিতভাবে পার্লামেন্টের ১৫ শতাংশ আসন লাভেও ব্যর্থ হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে মোবারকের রাজনৈতিক দলসহ অন্য সেক্যুলার দলগুলোর গণভিত্তি অনেক দুর্বল।
হোসনি মোবারকের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার প্রধান একটি নিয়ামক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মিসরের সেনাবাহিনীকে বছরে ১৩০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। মিসরে অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় মার্কিন বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি। এর পেছনের কারণ অবশ্য ১৯৭৯ সালে স্বাক্ষরিত মিসর-ইসরাইল শান্তিচুক্তিকে সমুন্নত রাখা। যাকে আমরা ইসরাইলকে নিরাপদ রাখা ও মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার স্বার্থে কাজ করার জন্য বার্ষিক ঘুষ বলতে পারি।
ইখওয়ানের রাজনৈতিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে হোসনি মোবারকের মানবাধিকারবিরোধী দমনমূলক কর্মকাণ্ডে পশ্চিমা দেশগুলো পুরোপুরিভাবে অবগত ছিল। তারা মানবাধিকার হরণ কিংবা নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কখনোই মোবারক সরকারের সমালোচনা বা চাপ প্রয়োগ করেনি। বরং এরা ইসলামপন্থী দলটির ওপর নির্যাতনকে সমর্থন জুগিয়েছে। এখন নির্বাচিত সরকারকে উত্খাতের পর একইভাবে পশ্চিমা বিশ্ব নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েছে। কারণ গণতন্ত্রের চেয়ে ইসলামপন্থীদের ক্ষমতারোহণ তাদের কাছে বেশি বিপজ্জনক মনে হয়েছে। আরব বসন্তের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব আশা করেছিল, সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে কিন্তু ফলাফল হয়েছে উল্টো। প্রমাণ হয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আদর্শ শত বছর পর হলেও কথা বলে, মানুষের জীবনব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আরব বিশ্বে মুসলিম তরুণরা স্বৈরতন্ত্রের জিঞ্জির থেকে মুক্তির জন্য যে বিপ্লবের সূচনা করেছিল, সে মুক্তির স্বপ্ন ভঙ্গ হলে তারা চরমপন্থার দিকেও পা বাড়াতে পারে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেহেতু পশ্চিমা সমর্থিত গোষ্ঠী বা সেনাবাহিনী সুযোগ দিচ্ছে না, তারা হয়তো বিকল্প রাজনৈতিক ব্যবস্থার চিন্তা করবে বিকল্প পন্থায়। মজার ব্যাপার হলো, বিশ্বজুড়ে দেখা যায়, সেক্যুলাররা গণতন্ত্রবাদীদের সমর্থন দেয়; কিন্তু মিসরে স্বৈরশাসকদের সমর্থন দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস হয়েছে। তাহলে কি তারা স্বৈরতন্ত্রের চেয়ে ইসলামী ব্যবস্থাকে তাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক মনে করে! ব্রাদার হুডের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি নির্বাচনের আগে শরিয়া আইন, অবৈধ ইসরাইলের বিরোধিতা ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ক্ষমতায় এসে তারা ঘোষণা দেয় সিভিল স্টেট বা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। তারা নিজেদের কখনো কখনো মডারেট মুসলিম হিসেবেও ঘোষণা করে। তারা ইসরাইলের সঙ্গে কৃত ক্যাম্পডেভিড চুক্তির স্বীকৃতিসহ ইসরাইলকেও স্বীকৃতি দেয়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে নিজ দলের মধ্যে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমতে থাকে। জনগণের ইসলামের চাহিদার থেকে দূরে এসেও পশ্চিমা ও তাদের দেশীয় দোসরদের মুরসি সন্তুষ্ট করতে পারেননি। তাই ব্রাদারহুড তথা মুসলিম বিশ্বের অন্য ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সামনেও প্রশ্ন উঠবে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার নির্বাচন কি তাদের ইসলামী সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী? নাকি পশ্চিমা সেক্যুলার পুঁজিবাদী বিশ্ব চায়—ইসলামপন্থীরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করুক, কিন্তু সরকার বা রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের ইসলামী আদর্শ যেন বাস্তবায়ন না করে।
আমরা ’৯০-এর দশকে আলজেরিয়ায় দেখেছি যখন ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হওয়ার পরও সেনাবাহিনী সে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং লিয়ামেন জেরুয়ালের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে, তখন সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলো সেনা শাসককে সমর্থন জানিয়েছিল। একই সঙ্গে পশ্চিমাবিশ্ব গণতন্ত্রকে ছুড়ে ফেলে সেনাশাসকের পাশে এসে দাঁড়ায়। লিয়ামিন জেরুয়াল তিন দশক ধরে দেশটিতে একদলীয় শাসন কায়েম করে রেখেছে। নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেয়ার ফল হিসেবে আলজেরিয়ায় জনগণকে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে হয়েছে। হাজার হাজার নিরীহ মানুষ সশস্ত্র লড়াইয়ে জীবন দিয়েছে। বিখ্যাত চিন্তাবিদ ও কাউন্টার পাঞ্চের লেখক ইসাম আল-আমিন তার সাম্প্রতিক একটি লেখায় লিখেছেন, ‘আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনের মানুষ যখন ১৯৯২ ও ২০০৬ সালে ইসলামপন্থীদের নির্বাচিত করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসলামপন্থীদের বিজয়কে ভিন্ন চোখে দেখেছে। মিসরেও ইসলামপন্থীদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। গত দুই দশকে এটা তৃতীয় বার—ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের এরূপ অবস্থান ভবিষ্যতে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের ভবিষ্যত্ সম্পর্কের নির্ণায়ক হতে পারে।’
২.
বিভিন্ন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর মুসলিম বিশ্বের স্বৈরশাসকদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা ও তাদের সব রকমের সহযোগিতা দিয়ে মসনদে টিকিয়ে রাখার বিষয়গুলো আজ বুঝতে আর কারও বাকি নেই। ওসমানীয় খিলাফতের পতনের পর মুসলিম ভূখণ্ডগুলো থেকে সম্পদপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্রিটিশ-ফ্রান্স-আমেরিকা কখনও স্বৈরশাসক আবার কখনও সেনা-স্বৈরশাসক ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। মুসলিম বিশ্বের স্বৈরশাসকদের সঙ্গে আমেরিকার দহরম-মহরম সম্পর্কের কথা কারও না জানা নেই। জামাল আবদুল নাসের, ইসলাম কারিমভ, হোসনে জাইম, করিম কাসেম, হাফিজ আল আসাদ, জেনারেল সুহার্তো, সাদ্দাম, সৌদ বংশের শাসকরা, হোসনি মোবারক, গাদ্দাফি, আইয়ুব খান, জিয়াউল হক, মোশাররফদের মতো বর্তমান ও সাবেক স্বৈরশাসকরা আমেরিকা-ব্রিটেনের-ফ্রান্সের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে টিকে ছিল। তেলসম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আনায় ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনপ্রিয় মোসাদ্দেক সরকারকে হটিয়ে রেজা শাহ পাহলভিকে ক্ষমতায় বসায়। অনুগত স্বৈরশাসক রেজা শাহ পাহলভির শাসনামলে সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের নামে আমেরিকা বার্ষিক ৩০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য প্রদান করত।
১৯৯৫ সালে ক্লিনটন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একজন অফিসিয়াল নিউইয়র্ক টাইমসে ইন্দোনেশিয়ার স্বৈরশাসক জেনারেল সুহার্তোকে ‘আওয়ার কাইন্ড অব গাই’ হিসেবে সম্বোধন করেন। এতে সুস্পষ্ট হয় ইন্দোনেশিয়ায় তার আমলের গণহত্যা ও জুলুমের শাসনে তখনকার আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের তথা আমেরিকার অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসকদের নগ্ন সমর্থন। ২০ মার্চ, ২০০৩ সালে সাদ্দামের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে এ অজুহাতে ইরাকে হামলা চালিয়ে আজ পুরো জাতিকে ধ্বংসের মহড়ায় আমেরিকান সৈন্যরা উন্নত হয়েছিল। অথচ এই সাদ্দামকে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র দেয়ার হাজারো প্রমাণ হাজির করা যাবে। দ্য এল এ টাইমসের ১৯৮৪ সালের এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৪৫ বেল ও ২১৪ এসটি নামের যুদ্ধে ব্যবহৃত হেলিকপ্টার আমেরিকা সাদ্দামকে হস্তান্তর করে। ১৯৮৮ সালে নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করে, ওই হেলিকপ্টারগুলো ব্যবহার করে কুর্দি দমনে বিষাক্ত গ্যাস ছোড়া হয়।
টার্কি, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এ দেশগুলোর স্বৈরশাসকদের হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করা আমেরিকা-ব্রিটেনের লক্ষ্য নয়। তাই যদি হতো, তাহলে এ দেশগুলোতে কখনো সামরিক শাসক, কখনো স্বৈরশাসক কখনো পুতুলসরকার আবার কখনও তথাকথিত ভঙ্গুর গণতন্ত্র সাম্রাজ্যবাদীরা পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় নিয়ে আসত না। অর্থাত্ তাদের উদ্দেশ্য শুধু এ দেশগুলোর সম্পদকে লুটপাট করা এবং রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল রাখা যাতে করে মুসলিম উম্মাহ যেন কোনোভাবেই বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাবশালী না হয়ে উঠতে পারে। কারণ মুসলিম বিশ্বে যদি গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারগুলো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে তাহলে এসব জনপ্রিয় সরকার জনগণের চাপে সাম্রাজ্যবাদীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এ কথার সত্যতা বোঝা যায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির দিকে তাকালে। বাংলাদেশে বিএনপি-আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ভারত-আমেরিকা যেসব সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিল, তা কিন্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপি দিতে পারেনি, অথচ ফখরুদ্দীন সরকার সেসব অনেক সুযোগ-সুবিধা কোনো ধরনের দেনদরবার ছাড়াই দিয়ে দেয়।
ঐতিহাসিক ও আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বলতে হয়, ষোড়শ শতকে ফরাসি বিপ্লবের পর ইউরোপে যখন প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়, মধ্যপ্রাচ্য তথা অর্ধপৃথিবীতে তখনও ইসলামী শাসনের স্বর্ণযুগ চলছিল। হাজার বছরের ক্রুসেডের বারবার যুদ্ধ ও পরাজয়ের ইতিহাসও হয়তো পশ্চিমারা ভুলতে পারে না। তাদের ধারণা সেক্যুলার পুঁজিবাদী গণতন্ত্র ধর্মভিত্তিক মুসলিম সমাজে হয়তো মানিয়ে উঠতে পারবে না। তাই মুসলিম বিশ্বেও ১৪০০ বছরের ভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার নিরিখে পশ্চিমারা হয়তো ইসলামপন্থী দলগুলোকে সমর্থন দিতে সংকোচ বোধ করে। ঐতিহাসিক ও আদর্শিক এ দ্বন্দ্বের অভিজ্ঞতা মনে হয় ইসলাম ও পুিঁজবাদী সেক্যুলার গণতন্ত্রের ভবিষ্যত্ সম্পর্কের রূপ নির্ধারণ করবে।
লেখক : মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাজনীতি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button