যুক্তরাষ্ট্রে আঁড়িপাতা বেআইনি : আদালতের রায়
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, টেলিফোন কল হ্যাক করে যে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেছে তাকে আইন বহির্ভুত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিপন্থী বলে রায় দিয়েছেন সে দেশের একজন ফেডারেল বিচারক। এ রায়টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ পরীক্ষা করে দেখছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের টেলিফোনে আঁড়ি পেতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, এনএসএর সংবাদ সংগ্রহের বিষয়টিকে অসাংবিধানিক বলে মত দিয়ে তা বন্ধে রুল জারি করেন ফেডারেল কোর্টের একজন বিচারপতি।
এনএসএর আঁড়ি পেতে সংগ্রহ করা তথ্যের বিশাল ভান্ডার গড়ে তোলাকে বিচারপতি অযৌক্তিক এবং প্রথাবিরুদ্ধ বলে মত দেন।
বিচারপতি রিচার্ড লিওন বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী বিনা কারণে তথ্য খুঁজতে গিয়ে নাগরিকদের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল বিচারপতি রিচার্ড লিওন সোমবার এ ব্যাপারে একটি ইনজাংশন জারি করলেও সরকারের আপীলের সুযোগ রেখে তার সিদ্ধান্ত অপেক্ষমান রেখেছেন।
এদিকে দেশটির আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ক রুলটি বিশ্লেষণ করে দেখছে। বিচারক রুল জারি করার আগে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কার্নি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
জে কার্নি বলছিলেন, তথ্য সংগ্রহের পুরো পদ্ধতি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিক এবং মিত্রদের সুরক্ষার জন্য করণীয় সবকিছু করতে পারছেন কিনা। যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সব ধরনের যান্ত্রিক সুবিধা রয়েছে বলেই তারা এটি করছেন না, বরং তাদের দায়িত্ববোধ থেকে করছে।
তবে জে কার্নি জানিয়েছেন, এনএসএর তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারটি ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা পলাতক সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। এডওয়ার্ড স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এদিকে সোমবার এনএসএ জানিয়েছে, এডওয়ার্ড স্নোডেন গোপন তথ্য ফাঁস করা বন্ধ করতে রাজি হলে তার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার কথা ভাবতে পারে সংস্থাটি।
গত জুনে এডওয়ার্ড স্নোডেন পালিয়ে রাশিয়া চলে যান এবং এখন সেখানেই বসবাস করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে তার সঙ্গে ক্ষমার বিনিময়ে তথ্য ফাঁস বন্ধের চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছেন এনএসএর একজন কর্মকর্তা।