অপ্রিয় হলেও সত্য আমরা জীবিতাবস্থায় কাউকে মূল্যায়ন করতে জানিনা
সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী ইন্টারন্যাশনাল ‘‘ফ্রেন্ড-ইনডিড’’ এওয়ার্ড লাভ করে বৃটেনের বহুজাতিক সমাজে বাঙ্গালীর মুখ উজ্জল করেছেন এই মানুষটিকে নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত। গুণীজনদের সম্মান করলে নিজেরাই সম্মানীত হয়, অপ্রিয় হলেও সত্যি যে আমরা বাঙ্গালীরা জীবিতাবস্থায় কাউকে মূল্যায়ন করতে জানিনা। একজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে মতিয়ার চৌধুরী ত্রিশ বছরের ও বেশী সময় ধরে নিরলস ভাবে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাংলাটাউনের সাজনাগ্রীল রেষ্টুরেন্টে দীগলবাক শেখবাড়ী কল্যাণ ট্রাষ্ট ইউকে আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় বক্তারা এঅভিমত ব্যাক্ত করেন।
বক্তারা বলেন মতিয়ার চৌধুরী দীর্ঘ দিন যাবত সাংবাদিকতার পাশাপাশি সিলেটী ভাষা নিয়ে গবেষনা করছেন, সাহিত্যের সকল শাখাতে রয়েছে তার বিচরন। দীগলবাক শেখ বাড়ী কল্যাণ ট্রাষ্ট ইউকে এবং এলাকাবাসী এই মানুষটিকে মূল্যায়ন করায় আমরা আনন্দিত।
মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও শেখ জোবের হোসেন সোহেল এবং সাবেক ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান লিটনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃটেনে হবিগঞ্জ বাসীর অংহকার এনটিভির সি-ই-ও সাবরিনা হোসেন, বাংলা একাডেমী পুরুষকারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক কাজল, আসছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলীয় একমাত্র বাঙ্গালী এমপি প্রার্থী মিনা রহমান, ক্যানারী ওয়াফ গ্রুপের্র হেড অব কমিউনিটি এ্যাফেয়ার্স কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডসঅব বাংলাদেশের ভাইস চেয়ার জাকির খান, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ, নিউহ্যাম কাউন্সিলের লেবার দলীয় কাউন্সিলার রহিমা রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ সর্দার।
অনুষ্টানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্বর্ধনা সভার আয়োজক শেখ শামীম আহমদ।
সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন, সাপ্তাহিক জনমতের নিউজ এডিটর ও লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক সাঈম চৌধুরী, সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক কবি আহমেদ ময়েজ, বাংলাপোষ্ট সম্পাদক ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী, বার্তা সংস্থা ইউএনবির লন্ডন প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আহমেদ শামীম, লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু, ইনাতগঞ্জ-দীগলবাগ গণদাবী পরিষদের আহবায়ক সাবেক ছাত্র নেতা দেলওয়ার হোসেন দীপু, যুক্তরাজ্য বাসদের সভাপতি গয়াছুর রহমান, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হোসনেয়ারা মতিন, জাগরন মঞ্চের অজয়ন্তা দেব রায়, পুষ্পিতা, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহসভাপতি আনিসুজ জামান আজাদ, বিয়ানীবাজার জনকল্যান সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির খান, বাংলাটিভির উপস্থাপক আব্দুল কাদির মোরাদ, বেতার বাংলার উপস্থাপক নজরুর ইসলাম অকিব, দীগলবাক ডেভল্যাপমেন্ট এসোসিয়েশ ইউকের প্রেসিডেন্ট প্রবীণ কমিউনিটি নেতা ইব্রাহীম খান, শাহরিয়ার খান, সেলিম খান, দীগলবাক ডেভল্যাপমেন্ট এসাসিয়েশনের সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম, শেখ আজমল হোসেন, শেখ হামিদুর রহমান কানু, শেখ লখন, ফজলুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্টানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাপ্তাহিক জনমতের ষ্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া, ইনাতগঞ্জ-দীগলবাক গণদাবী পরিষদের পক্ষ থেকে মানপত্র পাঠ করবেন হেলাল আহমদ চৌধুরী। সম্বর্ধিত অতিথি মতিয়ার চৌধুরী ও এনটিভির সিইও সাবরিনা হোসেনকে আয়োজদের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্টানের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করেন দীগলবাক শেখবাড়ী কল্যাণ ট্রাষ্ট ইউকের পক্ষ থেকে শেখ ফাহিমা আহমেদ, শেখ লেলিন, বদরুল ইসলাম রনি, শেখ জাবেদ হোসেন, সুরভী, ফেরদৌস, শেখ মাহফুজ সামি আহমেদ।
উল্লেখ্য যে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে শান্তির পক্ষে কাজ করার জন্যে ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল পিস সাপোর্ট গ্রুপ মতিয়ার চৌধুরীকে ফ্রেন্ড ইনডিড এওয়ার্ড ২০১৩ প্রদান করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল লন্ডনের পাঁচ তারকা এম্বেসেটর ব্লুমসবারী হোটেলে তার হাতে আনুষ্টানিক ভাবে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। এবছর ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাস পিস সাপোর্ট গ্রুপ দুজন ব্রিটিশ এমপি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট বিশজনকে এওয়ার্ড প্রদান করে, মতিয়ার চৌধুরী একমাত্র বাংলাদেশী যিনি এই এওয়ার্ড লাভ করেন। ইতিহাস ঐতিহ্যের গবেষণা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ, আর্থমানবতার কল্যাণ, শিক্ষার উন্নয়ন ও গুণীজনদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দীগলবাক ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দীগলবাক গ্রামের শেখ পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক ভাবে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্টা করেন দীগলবাক শেখবাড়ী কল্যাণ ট্রাষ্ট। কোন ধরনের সরকারী সাহায্য ছাড়াই নিজদের অর্থব্যায়ে আর্থমানবতার কল্যাণ সহ এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে সংগঠনটি। এই প্রথম বারের মতো নিজ এলাকার একজন গুণীব্যাক্তিকে সম্বর্ধনা প্রদান করলো। অনুষ্টানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।