বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ৮ ছাত্রলীগের ফাঁসি, ১৩ জনের যাবজ্জীবন
বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় দেন।
ফাঁসির আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিয়া, রাজন তালুকদার ও নূরে আলম লিমন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, তারেক বিন জোহর ওরফে তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাবেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে একই আদালতের বিচারক রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আসামির তালিকায় থাকা ২১ আসামির সবাই আদালতপাড়া সংলগ্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অধিকাংশ সরকারি দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আসামিদের আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক।
আটক আটজন হলেন- রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রাশেদুজ্জামান, কাইয়ুম মিয়া, এস এম কিবরিয়া, এমদাদুল হক, সাইফুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা।
পলাতক ১৩ আসামি হলেন- রাজন তালুকদার, ইউনুস আলী, আজিজুল হক, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, মীর মো. নূরে আলম, আল আমিন শেখ, মনিরুল হক, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের হরতালের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎকে।