দক্ষিণ সুদানে সেনা অভ্যুত্থান, সংঘর্ষে নিহত ৫০০

Sudanআফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪শ থেকে ৫শ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৮ শতাধিক। অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জাতিসংঘ হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে।
রোববার প্রেসিডেন্ট সালভা কিরকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে সেনাবাহিনীর একাংশের ব্যর্থ চেষ্টা চালানোর পর সুদানে সংঘর্ষ চলছে।
জাতিসংঘের কূটনীতিকেরা বলেছেন, দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা থেকে সূত্র তাদেরকে জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০ হতে পারে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা চলছে’ বলে মনে হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্বকারী জাতিসংঘে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত গেরার্ড আরাউড বলেন, জুবায় জাতিসংঘের মিশনে ২০ হাজারের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে।
দক্ষিণ সুদানের সহিংসতা নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হতাহতের সংখ্যার প্রতিও জোর দেন তিনি।
জরুরি নয় এমন দূতাবাস কর্মকর্তা দ্রুত দক্ষিণ সুদান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট কির জানান, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক ম্যাচারের অনুগত একদল সেনাসদস্য রোববার রাতে ক্ষমতা নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু দেশপ্রেমী সৈন্যরা তাদের ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ওই ভাষণে তিনি রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা কারফিউ জারি করেন।
প্রেসিডেন্ট কির জানান, ক্ষমতাসীন দল সুদান পিপল’স লিবারেশন মুভমেন্টের (এসপিএলএম) এক বৈঠকে পোশাক পরিহিত সেনা কর্মকর্তারা গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সোমবার পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলেও ওই দিনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা ‍জানায় সরকার। তবে মঙ্গলভার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ও জুবার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ম্যাচারকে খুঁজছেন। ম্যাচার আত্মগোপনে রয়েছেন বলে ধারণা তাদের।  তিনি ক্ষমতাসীন এসপিএলএমের মধ্যে বিদ্রোহী একটি গ্রুপ গঠন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ জ্যেষ্ঠ ১০ রাজনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ সুদান কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button