নিরিহ মুসলিম যুবকদের ওপর জার্মান পুলিশের নগ্ন হামলা
জার্মানীতে একদল পুলিশ গত সপ্তাহে পবিত্র রমযানে তারাবীর নামায পড়ে ফেরার পথে মুসলিম যুবকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিশ যুবকদের কোন কারণ ছাড়াই বিনা উস্কানিতে আটক করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। সোফিয়ান ডি নামক ভুক্তভোগী যুবক ডয়েচ তার্কিস জার্নালকে জানান, পুলিশ সদস্যদের কাছে তাদের আটকের কারণ এবং এ সংক্রান্ত কাগজ দেখতে চাইলে তাদেরকে এ সংক্রান্ত কোন তথ্যই দিতে পারেনি। সূত্র জানায়, গত বুধবার তুরস্ক এবং মরক্কোর ১৫ যুবক অফেনবাচ শহরের একটি মসজিদ থেকে রাতে তারাবীর নামাজ শেষে বের হলে জার্মান পুলিশ বিনা কারণে তাদের ওপর হামলে পড়ে। পরে পুলিস অফিসাররা যুবকদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার অজুহাতে আটকের পর কোন কারণ না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু অন্যায়ভাবে বেদম মারপিট করে। পরে পুলিশের ঐ কর্মকর্তারা এ ঘটনা কোন সংবাদমাধ্যমকে জানালে তাদের আরও খারাপ হবে বলে যুবকদেরকে শাসিয়ে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিরীহ মুসলিম যুবকদের ওপর ঐ নারকীয় হামলায় ১৩ জার্মান পুলিশ অংশ নেয়। ঘটনাস্থলে উমুত কে নামক এক ব্যক্তি তার ছোট ভাইটির অবস্থা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে জবাবে তার ভাগ্যেও জোটে পুলিশী ব্যাটনের পিটুনি। ঘটনার পর সে পুলিশ অফিসারদের এই নির্মমতার বিরুদ্ধে একটি হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য, জার্মানী হচ্ছে ফ্রান্সের পরে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। জার্মানীতে প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়।
এখানকার সরকারী পরিসংখ্যান মোতাবেক জার্মানীতে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৩৮ লাখ থেকে ৪৩ লাখের মধ্যে। ৮ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা হচ্ছে শতকরা ৫ ভাগের মত।