মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে নাগরিক আন্দোলনের আলোচনা সভা
বিজয়ের চেতনা ঐক্যের বিভক্তি নয়, বিজাতীয় অপসংস্কৃতি নয়, দেশীয় সংস্কৃতির সুস্থ্য বর্ণিল- লালনই হোক আাগমী দিনের দৃপ্ত অঙ্গীকার এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার দৃঢ় শপথে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে গত ১৬ ডিসেম্বর সোমবার পূর্বলন্ডনের ওয়াটার লিলি সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। এতে যুক্তরাজ্যস্থ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন জাতীয়তাবাদি আদর্শের সকল সৈনিককে একই পতাকার তলে সমবেত হয়ে আওয়ামী বাকশালী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের জবাব দিতে হবে। তাদের হাতে দেশের স্বাধীনতা আজ রক্ষিত নয়। দেশে বিচারের নামে চলছে হত্যাযজ্ঞ। জামাত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাসি প্রমান করে এই সরকার কিভাবে রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। তাবেদার এই সরকারের দু:শাসনের বিরুদ্ধে প্রবাসী সকল নেতাকর্মীকে রুখে দাড়াবার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থার বর্ণনা করে বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা আজ আগ্রাসী শক্তির নানামুখী ষযযন্ত্রে বিপন্ন। আওয়ামীলীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। লাখো শহীদের রক্ত এবং মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বধীন বাংলাদেশে এখন মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা অঘোষিত ভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে কোথাও দাড়ানোর নুন্যতম অধিকার নেই। সরকারী বাহিনীর কাজ আইনশৃৃখলা এবং দেশের মার্যাদা রক্ষা করা হলেও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠি সেই বাহিনী গুলোকে এখন ব্যবহার করছে বিরোধী দল ও মতের মানুষকে দমন-নিপীড়নের কাজেই নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হচ্চেছ প্রতিবাদী জনতা, নিরীহ নারী শিশুকে। রিমান্ডের নামে নির্বিচারে নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার চালানো হচ্চেছ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আলেম-ওলামা এবং ছাত্র শিক্ষকদের উপর। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী শুধু নারকীয় তান্ডাই চালাচ্চেছনা তারা প্রকাশে অস্ত্র নিয়ে নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা জখম করছে। দখল করছে মানুষের ঘর-বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাংচুর করছে হিন্দু ধর্মল“ীদের মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মাবল“ীদের উপসনালয়। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি ক্ষমতাধরদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই অপকর্মের দায় বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর চাপিয়ে বিপন্ন করে দেয়া হচ্চেছ মানুষের স্বাভাবিক জীবন। বক্তারা পুলিশ প্রশাসনকে নিরশ্র জনগনের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় একদিন এই গনহত্যার দায়ে তাদেরকে বিচারের সম্মুখিন করা হবে।
নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এম এ মালেক এর সভাপতিত্বে এবং শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন, প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন ও নাসিম আহমদ চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৮ দলীয় জোটের নেতা মুফতি শাহ সদর উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৮ দলীয় জোট নেতা আব্দুল কাদের ছালেহ, মাওলানা শোয়েব আহমেদ, ব্যারিস্টার নজরুল, আবু বকর মোল্লা, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আবু তাহের চৌধুরী, ১৮ দলীয় জোট নেতা সদরুজ্জামান খান, যুক্তরাজ্যা বিএনপির সহসভাপতি আকতার হোসেন,
আশিকুর রহমান আসিক, ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমেদ, আতিকুর রহমান চৌধুরী পাপ্পু, শামছুর রহমান মাহতাব, করিম উদ্দিন, ব্যরিস্টার লিটন আফিন্দি, তাজ উদ্দিন, মোশাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার হোসাইন, ব্যরিস্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার আবু ইলিয়াস, এডভোকেট আবুল হাসনাত, ব্যারিস্টার আল মামুন, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর, সাইফুর রহমান ছোটন, বাবু (ইটালি), রাব্বি (পর্তুগাল), ফিরোজ আহমেদ (পর্তুগাল), ফল মিয়া, রায়হান উদ্দিন, মুরাদ আহমেদ, কাজি ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, কামাল উদ্দিন, এম এ কাদির, রাজন আলী সাঈদ , রহিম উদ্দিন, খসরুজ্জামান খসরু, নাসির আহমদ শাহিন, আমিনুর রহমান আকরাম, নুরুল ইসলাম, মাসুম আহমেদ, মুফিদ আহমদ, মাহবুব কাদির মিলন, কে আর জসিম, শেখ আলী আহমদ, মঞ্জুর আশরাফ খান, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, সুফি মিয়া মেল, ছালেহ আহমদ, রাজা জায়গিরদার সোহেল আহমদ সাদিক, শেখ তফু, আব্দুল মালিক কুটি, সৈয়দ জিল্লুল হক, শহিদুল ইসলাম স্বপন, কবির মিয়া, আব্দুল হক রাজ, কাউন্সিলার জয়নাল আহমেদ, খোকন, চিনু মিয়া শাহ এম এস আজাদ,সেলিম আহমদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জা জুয়েল আমিন, নুর বক্স, বাবর চৌধুরী, মো: খিজির, ইকবাল হোসেন, ওয়াসিম উদ্দিন মানিক, হাবিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুদ্দিন, মনিম এনাম, লায়েক আহমদ, লাহিন আহমদ, কবির উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, নাসিম আহমদ, কবির উদ্দিন, লাহিন মিয়া, কচির উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, মুনাজর হোসেন, রানা আহমদ, জামিল আহমেদ, আব্দুল আহাদ, নাসির আহমদ, রাজিব আহমেদ খান, সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম, আবু নাসের শেখ, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ফাহমিদা মজিদ, প্রমূখ।