পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪ দলের তিন দিনের কর্মসূচি
জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনায় এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। ক্ষমতাসীন এই জোট সারা দেশে তিনদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডি কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
নাসিম জানান, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে কাদের মোল্লার রায় কার্যকরে নিন্দা প্রস্তাব করায় এর প্রতিবাদে ২২ ডিসেম্বর উপজেলায়, ২৩ ডিসেম্বর জেলা ও ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ১৪ দল।
তিনি বলেন, ১৪ দল মনে করে পাকিস্তানের এ ধরনের আচরণ ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাদের আস্ফাালন সকল রাজনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত। এমনকি কূটনৈতিকভাবেও এই আস্ফাালন অগ্রহণযোগ্য।
এই তিনদিনের বিক্ষোভে বিরোধী দলের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেও কাজ করা হবে বলে জানান নাসিম।
এছাড়া সাতক্ষীরা, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, নাটোরসহ জামায়াত-শিবির যেসব এলকায় নৈরাজ্য চালিয়েছে ১৪ দলের নেতার ওইসব জেলা সফর করে বক্তব্য রাখবেন বলেও জানান ১৪ দলের এই মুখপাত্র।
এ সময় যে কোনো মূল্যে আগামী সংসদ নির্বাচন সফল করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
নাসিম বলেন, ৫ জানুয়ারি সাংবিধানিক কারণেই নির্বাচন করতে হবে। সংলাপ চলছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এর সমাপ্তি ঘোষণা করেনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন সফল করতে গণসংযোগ চালিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। দলীয়ভাবে প্রচারণার পাশাপাশি ১৪ দলের ব্যানারেও প্রচারণা চালানো হবে।
এ সময় মহাজোট বলে এখন আর কিছু নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
বাংলাদেশে পাকিস্তানী দূতাবাস বন্ধে গণজাগরণ মঞ্চের দাবির বিষয়ে প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, যে কেউই যে কোনো দাবি করতেই পারেন। সরকার কূটনৈতিকভাবে এগুলোকে মোকাবেলা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পাটির্র সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদ আলী খান, অসিত বরন রায়, গণতন্ত্রী পাটির্র শহীদউল্লাহ সিকদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।