বাংলাদেশে এমন সহিংসতা আর দেখিনি : লন্ডনে বাংলা মিডিয়ার সাথে ওয়ারসি
ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের সিনিয়র মিনিস্টার সাঈদা ওয়ারসি বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কম-বেশি সহিংসতা বাংলাদেশে আরো হয়েছে, কিন্তু এবারের মতো ভয়াবহ সহিংসতা আর কখনো দেখিনি। বুধবার লন্ডনে ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এখনো বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ, নিরপে ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ মিনিস্টার বলেন, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়। তবে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ যাতে তাদের আগামী সরকার নির্বাচিত করতে পারে সেটিই হলো মূল বিবেচ্য।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে ব্রিটেন এটিকে কিভাবে নেবেÑ এমন এক প্রশ্নের কৌশলী জবাব দেন ওয়ারসি। বাংলানিউজ।
তিনি বলেন, একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা দেখতে চাই। বিদেশীরা নয়, বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচন কিভাবে নেয়, সেটিই বড় কথা।
ওয়ারসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগীদের নিয়ে আমরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রস্তুতি গভীরভাবে পর্যবেণ করছি।
গত সপ্তাহে নিজের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে অবহিত করতে গিয়ে ব্যারোনেস ওয়ারসি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, সিভিল সোসাইটি, নির্বাচন কমিশনসহ অনেকের সাথে বৈঠক করে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ল্েয সংলাপের তাগিদ দিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন েেত্র দেশটির সাম্প্রতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে দুটো প্রধান দলের রাজনৈতিক সমঝোতা শুধু বিশ্বসম্প্রদায় নয়, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণেরও এখন প্রধান দাবি।
গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে সহিংসতা, মানুষ হত্যা, সম্পদ ধ্বংসের তীব্র সমালোচনা করে ব্রিটিশ ফরেন অফিস মিনিস্টার বলেন, প্রতিবাদের ভাষা যদি সহিংসতা হয়, তা কখনো সভ্য সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বাংলাদেশের বিরোধী দলের প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান ওয়ারসি। একই সাথে বিােভকারীদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সহনশীল আচরণ আশা করেন তিনি।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা সম্পর্কে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ব্যারোনেস ওয়ারসি বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমরা।
কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরোধিতা করতে গিয়ে পাকিস্তানি পার্লামেন্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাব নেয়ার মতো নিজরবিহীন ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এই আচরণকে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তপে কি না জানতে চাইলে ব্যারোনেস ওয়ারসি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।