মালদ্বীপে মহান বিজয় দিবস পালিত
মো: এমরান হোসেন তালুকদার: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পাকিস্থান থেকে বাংলাদেশ। দিনটি ছিল বৃহৃস্পতিবার। ঐ দিন বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার শপথের স্মৃতিদ্বীপ্ত রেসর্কোস ময়দানে মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজীর আত্মসর্মপনের মাধ্যমে সূচিত হলো আমাদের রক্তস্নাত সূর্যপ্রতিম বিজয়েরর এক নতুন অধ্যায়। এই উপলক্ষে মালদ্বীপের রাজধানী মালের সি বিন্ডিং এর হলরোমে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে সকল শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ১মিনিট নীরবতা পালন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান মন্ত্রীর বানী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত রিয়ার এডমিরাল এ. এস. এম. এ. আওয়াল। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ন সচিব নূরুন্নাহার, রাষ্ট্রদূতের হেড অব চ্যান্সারী মো: অহিদুজ্জামান লিটন, মেড্যাম কেয়া আওয়াল, উপ-পরিচালক তানজিলা চৌধুরী, শিক্ষাবিদ আহম্মেদ মোত্তাকী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্থান বিভাজনের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করলে ও বাঙালিরা অধিকার অস্থিত্ব আর মর্যাদার জন্য প্রান দিয়েছেন বার বার। বৃটিশ উপনিবশাবদের স্থলে নয়া উপবিনেশ পাকিস্থান তার ঘৃন্যতম দু:শাসনে বাঙালিদেরকে রাজনৈতিক, অর্থিক, সামাজিক সকল দিক থেকে পঙ্গু করে ফেলেছিল। দু:শাসনের চরম পর্যায়ে এসে সর্বশেষ নগ্নরুপে আঘাত হেনেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে। বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে যে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল- দীর্ঘ নয় মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এন.বি.এল. এর (লোকল ডিরেক্টর) মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, মো: শফিকুর রহমান, মো: ইয়াহিয়া, মো: মনির হোসেন, মো: জহিুরুল ইসলাম, মো: আলিম দূরানী, মো: হায়দার আলী পমূখ। আলোচনা সভা শেষে মো: শামসুজ্জামান শেখের উপস্থাপনায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীরা কবিতা ও সংঙ্গিত পরিবেশন করেন।