কায়রোতে মুসলিম সিস্টারহুডের বিক্ষোভ
রাজধানী কায়রোতে তীব্র শীতের মধ্যে সিস্টারহুড নামের একটি নারী সংগঠন তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেছে। মুরসিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে মিসরের এই নারীরা। দলের নাম ‘মুসলিম সিস্টারহুড’, যারা মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নারী সংগঠনের সদস্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
বুধবার রাতভর বিক্ষোভের সময় পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কিন্তু নারী সমর্থকদের পিছু হটাতে পারেনি তারা। এবারই প্রথম দলের নারী সদস্যরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভে নামলেন।
মুসলিম সিস্টারহুড সম্পর্কে অন্য দলগুলোর মত হলো, মুসলিম ব্রাদারহুডকে বাঁচাতে এটি একটি ভিন্ন কৌশল। কেননা, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নারীদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করবে না বলে মনে করা হয় এবং এর মাধ্যমে বিক্ষোভকেও জিইয়ে রাখা যাবে। এমনকি জনগণের সমর্থন আদায়েও সুবিধা হবে।
এই নারী সংগঠনটি এতদিন প্রকাশ্যে কাজ না করে পরিবারকেন্দ্রিকভাবে কাজ করেছে এবং এক্ষেত্রে তারা বেশ সংগঠিত ও একনিষ্ঠ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ আগ্রাসী। মুরসির পতনের পর গত কয়েক মাস আড়ালে থেকেও তারা আন্দোলন চালিয়ে গেছে।
সৌহিদা আব্দেল রহমান এমনই একজন সদস্য। যার বয়স মাত্র ১৩ বছর। তিনি বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, তারা ধর্ম রক্ষার জন্য এই আন্দোলনে নেমেছেন। মুরসির পক্ষে বিক্ষোভের জন্য অক্টোবরে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে মা-সহ আটক করা হয়েছিল তাকে।
তবে বয়সের কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও মা এখনও আটক। সৌহিদা এপিকে আরও জানায়, সেনাবাহিনী তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা আর পিছু হটবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানান, এই আন্দোলনে নারী এবং শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের, কেননা প্রকাশ্যে আন্দোলন না করায় তাদের পরিচয় নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে অজানা।
তবে অক্টোবরে আলেকজান্দ্রিয়ায় বিক্ষোভের সময় ২১ নারী আটক হন। এদের অনেককেই ১১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানী কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে মুসলিম সিস্টারহুড এবং দলে আরও নারীদের টানার চেষ্টা করছে তারা।