খালি মাঠ, গোলকিপার নেই, গোল তো হবেই : শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিরোধী দলের অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা জানতাম, বিরোধী জোট নির্বাচনে আসছে। এজন্য আমরা মহাজোট আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছি। আমাদের দলের অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিরোধী দল এলে তো ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হত না।”
শনিবার বিকেলে রাজধানীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৫৪ আসনে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “খালি মাঠ, শূন্য মাঠ, গোল তো হবেই। মাঠে খেলোয়াড় নেই, আমি কী করব? খেলা হচ্ছে মাঠে, কিন্তু গোলকিপার নেই, গোলতো হবেই! এখন খালি মাঠে গোল হতে দেখে তারা কপাল চাপড়াচ্ছেন।”
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, “সংবিধান লঙ্ঘন ও ভোট কারচুপি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে। হত্যা, গুম, ভোট কারচুপি, কালো টাকা, স্বজন-প্রীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমানই। স্বাধীনতার মুল চেতনা দেশকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ওই সময় থেকেই। এখন বিএনপিও হত্যা, খুন, মানুষ পুড়ানোর মত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে।”
নির্বাচনে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমিতো বলেই দিয়েছি, আসুন আলোচনায় বসি। সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলে এ নির্বাচনের পর আমরা সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন করব। তবে তাদের জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে, হত্যা বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন করছে, তা থামাতে হবে।”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি জামায়াত ছাড়া নির্বাচনে আসবেন না। জামায়াতে ইসলামীকে তো হাইকোর্ট জঙ্গি সংগঠন বলেছেন, নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছে। তারা নির্বাচনে না আসতে পারলে, আমাদের করার কী আছে। জামায়াত না আসায় খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করেছেন।”
রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নেতারা।