নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মার্কিন প্রস্তাব আরব লিগের নাকচ
আমেরিকা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে আরব লিগ। ইসরাইলি সেনা মোতায়েন রেখে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার কায়রোতে ফিলিস্তিনি নেতা আব্বাস মাহমুদের সাথে একটি জরুরি বৈঠকে অংশ নেয়ার সময় আরব লিগপ্রধান নাবিল আল আরাবি বলেন, নয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে ইসরাইলের উপস্থিতি অনুমোদন করে কোনো শান্তিচুক্তিতে স্বার করা হবে না। বৈঠক শেষে আরব লিগপ্রধান ওই শান্তিপ্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন।
ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ব সীমান্তে ইসরাইলি সেনাদের অবস্থানের অনুমতি দেয়ার যে প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল তা নাকচ করে দেয় আরব লিগ। এর ফলে এপ্রিলের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
শনিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ডাকা এক জরুরি বৈঠকে আরব লিগের মহাসচিব নাবিল ইলারাবি বলেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে একজনও ইসরাইলের সৈন্য থাকতে পারবে না। আরব লিগের বৈঠকের পর গৃহীত একটি ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রস্তাবের মাধ্যমে ইসরাইলের নিরাপত্তা সম্প্রসারণের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। সেই সাথে নিরাপত্তার অজুহাতে ইসরাইল যাতে জর্দান ভ্যালি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে।’ আগামী আরো ১০ বছর ইসরাইলের সেনাবাহিনী যাতে জর্দান ভ্যালিতে থাকতে পারে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিস্তারিত ফিলিস্তিন সূত্রগুলো বৈঠকে তুলে ধরে। এ দিকে ইসরাইল জানিয়েছে, পশ্চিমতীরে অস্ত্র ও মুজাহিদদের প্রবেশ ঠেকাতে জর্দান ভ্যালিতে তাদের সৈন্য মোতায়েন রাখতে হবে। আব্বাস জর্দান ভ্যালিতে ইসরাইলের সেনা অবস্থানের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছেন। তবে আব্বাস এটাও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের সেনা পাঠালে তিনি তা মেনে নেবেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, নিরাপত্তা আয়োজন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘কিছু পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তিন বছর পর জুলাই থেকে আবারো সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু করেছে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল। তবে এখন পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি।