রোববার ঢাকা অভিমুখে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’
আগামী রোববার ২৯ ডিসেম্বর সারা দেশ থেকে জাতীয় পতাকা হাতে ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্র অভিযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তিনি।
তিনি এই অভিযাত্রার নাম ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’। সারা দেশে থেকে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে এই অভিযাত্রায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। একইসাথে ঢাকাবাসীকেও ওই দিন রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজয়ের এ মাসে ঢাকাবাসীকেও রাজধানীতে বিএনপির কার্যালয়ের সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, এই অভিযাত্রা কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি ঢাকা অভিমুখী অভিযাত্রা সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
খালেদা বলেন, আমরা সমঝোতার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সরকার চায়নি। এ কারণে সমঝোতা হয়নি। জাতিসঙ্ঘে ররাজনৈতিক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে তা-ও সফল হয়নি।
সরকার বিএনপির প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘরে ঘরে কান্নার রোল। শহর ও গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার।
খালেদা জিয়া বলেন, সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর জন্য এখন দেশে যা ঘটছে, তার দায়দায়িত্ব আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে। দুই দল ছাড়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা অওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে।
বিরোধীদলীয় এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বলে থাকেন যে, ১৫তম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে তিনি দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোটারদের ভোটধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বাকি ১৪৬ আসনেও উপযুক্ত প্রার্থী নেই যে, ভোটাররা তাদের ভোট দেবেন। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট এতে শামিল হয়েছেন। এটা কোনো ইলেকশন নয় নির্লজ্জ সিলেকশন।
নির্বাচন স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা পঞ্চম দফা টানা ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।
খালেদা জিয়ার ভাষণের পূর্ণবিবরণ