মিয়ানমারের মুসলিম জনপদে নয়া আতঙ্ক

Mayanmarমিয়ানমার সরকারের আব্যাহত দমন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মংডু জেলার মুসলিম নাগরিকরা আবারো আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী সমালোচনা ও নিন্দার মুখে মুসলিম অধ্যুষিত আকিয়াব প্রদেশ থেকে অত্যাচারী নাসাকা বাহিনীকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তার বদলে সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে লুমপিং পুলিশ বাহিনী। নতুন এ বাহিনীর নব্বই ভাগ হচ্ছে বেআইনি সশস্ত্র সংগঠন আরাকান লিবারেশন আর্মির আত্মসমর্পণকারী রাখাইন যুবক। যারা গতবছর মুসলমানদের হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, তাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। সূত্র : রেডিও তেহরান ও ওয়েবসাইট।
যাদের অত্যাচারে হাজার হাজার মুসলিম গ্রামছাড়া হয়েছে, দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, তারা যখন পুলিশের পোষাক পরে মংডুর গ্রামাঞ্চলে এসেছে তখন মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে, গণতান্ত্রিক সংস্কারের নামে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের ভেতরে রাখাইন বসতি স্থাপন করার কাজ শুরু হয়েছে সরকারি সহায়তায়। এমনকি, নির্বাচিত মুসলিম গণপ্রতিনিধিদের হটিয়ে সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকদের। ফলে, অসহায় ও অবরুদ্ধ মুসলমানরা তাদের পূর্বপুরুষের গ্রামে নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হবার আশঙ্কায় পড়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকে নিজেদের ভয়াবহ অবস্থার কথা রেডিও তেহরানকে জানিয়েছেন নাসাকা তিন নম্বর সেক্টরের কোয়াং চিবং গ্রামের মুহাম্মদ তারেক।
একই আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী হাফেজ আবুল কালাম। নাসাকা সেক্টর দুই- এর অধীনে জালিয়াপাড়া গ্রামে তার বড় ভাইয়ের পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া খবর জানিয়ে তিনি বললেন নতুন পুলিশ বাহিনীর নির্যাতনের কথা।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার কিছু কিছু সংস্কারের কথা বললেও মুসলমানদের নাগরিকত্ব ফেরত দেয়া হয়নি। বরং নানা কৌশলে মুসলিম নিধন কর্মসূচি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন সে দেশের মুসলমান নাগরিকরা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button