ঢাকার সাথে সারাদেশের সড়ক-নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
১৮ দলীয় জোটের ঘোষিত ঢাকামুখী অভিযাত্রা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র দুদিন আগেই রাজধানীর সাথে বিভিন্ন জেলার সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। বরিশাল বিভাগের সাথে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকেও ঢাকামুখী পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। শুক্রবার দুপুর থেকেই ঝালকাঠি, মেহেপুর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর থেকে ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর থেকে বাস টার্মিনাল এবং লঞ্চঘাট থেকে যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছে। যারা বাড়িতে গিয়েছিলেন তারাও ঢাকায় আসতে পারছেন না। সাধারণ যাত্রীরা একে সরকারের অবরোধ বলে আখ্যায়িত করছেন।
মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া সারাদেশ থেকে নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে জাতীয় পতাকা হাতে রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান। দুদিন আগেই কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ পরিবহণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহণ মালিকরা। শুক্রবার রাতে মাওয়া কাওরাকান্দি রুটে কুয়াশার অজুহাতে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। দিনে চালু করা হলেও বিকেল থেকেই আবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পরিবহণ বন্ধের জন্য বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শুক্রবার বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ২৯ তারিখের ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তারা বাস-লঞ্চ-ট্রেন বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে, যাতে মানুষ ঢাকায় আসতে না পারে।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ বিএনপিকে কালকের এই কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেয়নি। তবে বিএনপি যে কোনো মূল্যে কর্মসূচি সফল করার ঘোষণা দিয়েছে। একটি সূত্র জানায়, বাস মালিক সমিতি ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ করবে এমন আগাম খবর জেনে সারাদেশ থেকে অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে রাজধানীও আশপাশের এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছেন। এখন যারা আসার কথা ছিলো তাদের অধিকাংশই সাধারন মানুষ।
এদিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও স্টেশনগুলোতে পুলিশি অভিযান চলছে। সন্দেহভাজনদের আটক করা হচ্ছে।