‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি ফোরাম’ এর আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশে গনতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিকাশ এবং জাতীয় উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষনের লক্ষ্যে দেশে বিদেশে জনমত গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে ২১ জুলাই ২০১৩ লন্ডনে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরাম’ নামক একটি নূতন সংগঠন। এ ফোরামের চেয়ারম্যান – মেজর (অবঃ) ফারুক আহমেদ এবং সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার আলিমুল হক লিটন।
ডঃ কেএমএ মালিককে প্রধান উপদেষ্টা করে প্রাথমিকভাবে ২৭ জন উপদেষ্টা এবং কার্যকরী কমিটির ৯৪ জন সদস্য নিয়ে মোট ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির খসড়া তৈরী করা হয়েছে – যার পরিধি পরবর্তীতে আরো সম্প্রসারন করা হবে। যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ এবং আমেরিকা থেকে এ ফোরামের লক্ষ্য ও কর্মসূচীর প্রতি আগ্রহ জ্ঞাপনকারী ব্যক্তিদেরকে নিয়েই প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির খসড়া তৈরী করা হয়েছে ।
কেন্দ্রীয় কমিটি
উপদেষ্টা পরিষদঃ ডঃ কে এম এ মালিক (প্রধান উপদেষ্টা), জগলুল হোসেন (রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নিবন্ধকার), ব্যারিষ্টার এমবিআই মুন্সী (লেখক- দি ইন্ডিয়া ডক্ট্রিন), প্রফেসর সৈয়দ মামনুন মোরশেদ, ডঃ আবিদ বাহার (কেনাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও লেখক), ডঃ তাজ হাসমী (আমেরিকার টেনেসী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও লেখক), ডঃ হাসনাত হোসেইন (ভয়েস ফর জাষ্টিসের সভাপতি), মোখলেসুর রহমান চৌধুরী (প্রেসিডেন্টের সাবেক উপদেষ্টা), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) রোকন উদ্দীন (আমেরিকা প্রবাসী), ওয়াদুদ ভুঁইয়া (সাবেক সাংসদ-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা), এডভোকেট শাহিনুর পাশা (সাবেক সাংসদ- সুনামগঞ্জ-৩), আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল (বরিশাল জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক), ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মাহিদুর রহমান (বাংলাদেশ সেন্টার ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্টের সভাপতি), কাউন্সিলর অহিদ মিয়া (লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের ডেপুটি মেয়র), সম্পাদক চৌধুরী ফারুক, সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী (বাংলাপোষ্ট), মুফতি শাহ সদরুদ্দীন (হেফাজতে ইসলাম- ইউরোপ শাখার সভাপতি), প্রফেসর আবদুল কাদির সালেহ (সভাপতি- খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য), এম এ মালেক (সাবেক আহবায়ক, যুক্তরাজ্য বিএনপি), এম নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ (ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক), মেজর সিদ্দিক (অবঃ) (সভাপতি, বাংলাদেশ ওয়াচ), শামসুল আলম চৌধুরী (সভাপতি- বাংলাদেশ প্যাট্রিয়টস), সাংবাদিক আবু রুশদ (লেখক), আব্দুল আজিজ সরদার (সাবেক মেয়র, টাওয়ার হ্যামলেট), ব্যারিষ্টার এম এ সালাম (সাবেক সাধারন সম্পাদক, যুক্তরাজ্য বিএনপি) এবং মেজর শরীফ হোসেন মুকুল (অবঃ)।
গনতন্ত্র, মানবাধিকার, জাতীয় উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক যে কেউ এ ফোরামে যোগ দিতে আমন্ত্রিত। ভবিষ্যতে দেশে ও বিদেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এ ফোরামের সমর্থনকারী সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গনতান্ত্রিক রীতিসম্মত ও আইনানুগ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেক্ষ্য যে, ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরাম’ একটি স্বাধীন সংগঠন; এটি কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ বা বিপক্ষ হয়ে কাজ করবেনা। এটি ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল বা জোট কর্তৃক গৃহীত দেশের স্বার্থ পরিপন্হী কাজ বা নীতির বিরোধীতা করবে এবং ভাল কাজের প্রতি সমর্থন জানাবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর দীর্ঘ ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও জাতি আজও স্বাধীনতার সুফল এবং মুক্তি অর্জন করতে পারেনি। এর কারন- বিভিন্ন সরকারের ব্যর্থতা এবং বিশেষতঃ বর্তমান ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক দূর্নীতি, সন্ত্রাস, ক্রসফায়ার ও গুমকরনের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যা সহ চরমভাবে মানবাধিকার লংঘন, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করন করে বিরোধী দল ও মতের উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালানো, বিরোধী মতকে দমনের উদ্দেশ্যে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উপর হত্যাসহ হামলা মামলা ও রিমান্ডে নির্যাতন এবং সমালোচক মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া, জাতীয় স্বার্থকে পদদলিত করে দেশবিরোধী বিভিন্ন প্রকাশ্য ও গোপন চুক্তি স্বাক্ষরকরন, জাতিকে বিভাজনের উদ্দেশ্যে দেশবাসীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী এবং শাহবাগে ‘ধরে ধরে জবাই’ করার শ্লোগান দিয়ে উগ্রবাদ সৃষ্টিকারীদেরকে উৎসাহ প্রদান; পত্রিকার সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পত্রিকা অফিস সহ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর ক্রিমিনাল এসল্ট করার প্রকাশ্য হুমকি প্রদানকারীদের প্রতি সরকারের সার্বিক সহায়তা, ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, নিরস্ত্র প্রতিবাদী মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ও পরবর্তী ২ সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২ শতাধিক মানুষকে হত্যা এবং ৫-৬ মে-তে ঢাকার মতিঝিলে দেশের বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম’ এর প্রায় ২৪০০ কর্মীকে হত্যা করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের দাবীর স্বপক্ষে সামাজিক মিডিয়াতে তথ্যমূলক ফুটেজের ভয়াবহ চিত্র, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার নীল নকশা হিসেবে বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করে সংবিধানকে পরিবর্তন করা – ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
জনগনের চাহিদাকে অগ্রাহ্য করে দেশ পরিচালনার ফলে দেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ চরম দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ ইত্যাদি অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতিতে আচ্ছন্ন । জনপ্রতিনিধিত্ব করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই অদক্ষ, দূর্নীতিবাজ ও টাউট প্রকৃতির লোকদেরকে মনোনয়ন দিয়ে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া; নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন খরচের লাগামহীন উর্দ্ধগতি, শেয়ারবাজার লূটের মাধ্যমে ৩৩ লক্ষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সর্বস্য লুট; সীমান্তে ফেলানীর মত সহস্রাধিক নাগরিকের উপর হত্যা, ধর্ষন ও নির্যাতনে সরকার ও বিরোধী দলের নীরবতা; দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশকে ফারাক্কার মরণ বাঁধ দ্বারা মরুকরনে সরকারের নীরব প্রতিক্রিয়া এবং এ বিষয়ে বিরোধী জোটের দূর্বল প্রতিবাদ, পিলখানায় ৫৮ জন সেনা অফিসারকে হত্যার ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সরকারের চরম ব্যর্থতা এবং গণ-মানুষের স্বার্থের সংগে অনেকাংশেই অপ্রাসংগিক বিরোধী দলীয় রাজনীতি – ইত্যাদি জাতিকে একটি মহা সংকটের আবর্তে নিপতিত করেছে- যা থেকে পরিত্রান লাভ করে জাতির মুক্তি অর্জন এখন সময়ের দাবী।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে চারটি মূলনীতি তথা- গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জাতীয় উন্নয়ন এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরাম’ দেশ-জাতির স্বার্থের স্বপক্ষে একটি বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে দেশে ও প্রবাসে জনমত গঠনে কাজ করে যাবে।
কার্যনির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত করতঃ পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
মেজর ফারুক আহমেদ (অবঃ) এর সভাপতিত্বে এবং ব্যারিষ্টার আলীমুল হকের উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডঃ কেএমএ মালিক, জগলুল হোসেন, প্রফেসর মামনুন মুরশেদ, সম্পাদক কেএমএ আবু তাহের চৌধুরী, সম্পাদক চৌধুরী মোঃ ফারুক, ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মাহিদুর রহমান, এমএস আহমেদ আজাদ, শামসুল আলম লিটন, এমরান চৌধুরী, ব্যারিষ্টার ইকবাল হোসেন, ব্যারিষ্টার তমিজ উদ্দীন, মুফতি শাহ সদরুদ্দীন, শামসুল আলম চৌধুরী, এম মফীদুল ইসলাম, ব্যারিষ্টার ইকবাল, শেখ ফারুক আহমেদ, শেখ ইস্তাব উদ্দিন আহমেদ, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, এডভোকেট আবুল হাসনাত, তৌফিক চৌধুরী, নুরুল হক অপু, মামুন শিকদার, কামাল, জুয়েল, ব্যারিষ্টার মোঃ জাহাংগীর আলম প্রমুখ।