আদালত অবমাননা থেকে ইকোনমিস্টকে অব্যাহতি
স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত না থাকায় লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্টকে’ আদালত অবমাননা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রতি ৫টি পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়।
রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে গণমাধ্যমের প্রতি ৫টি পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো- কোনো সাংবাদিক ট্রাইব্যুনালের কোনো সদস্যের সঙ্গে সরাসরি বা টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারবে না, ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা সম্পর্কে কোনো সাংবাদিক জানতে চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, ট্রাইব্যুনালের সাধারণ কার্যক্রম সম্পর্কে জানার থাকলে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করে জানতে পারবে, অবৈধভাবে প্রাপ্ত কোনো তথ্যের ভিত্তিতে কোনো সংবাদ হওয়া উচিত না এবং ট্রাইব্যুনালের নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিককে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ ডিসেম্বর প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিজামুল হকের স্কাইপ কথোপকত প্রকাশ করায় সাময়িকীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে স্কাইপ কথোপকথন বিষয়ে ওই বিচারককে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে টেলিফোনে প্রশ্ন করায় একই অভিযোগে ইকোনমিস্টকে অভিযুক্ত করা হয়।
পরে ২৫ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে ইকোনমিস্টের পক্ষে লিখিত জবাব দেন ব্যরিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর ১৮ জুলাই এ অভিযোগে দুপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষ হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আদেশের জন্য ২৭ আগস্ট, ২৬ সেপ্টেম্বর, ৪ নভেম্বর এবং ৮ ডিসেম্বর ৪ বার পিছিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ইকোনমিস্টটের সম্পাদক ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো চিফের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না রুলে জবাব চাওয়া হয়েছিল। পরে তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়াম্যান নিয়োগ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ পুণর্গঠন করা হয়।