চ্যালেঞ্জের মুখে পোশাক খাত : মজীনা
বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তবে কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে পোশাক রফতানিতে বিশ্বের প্রধান রফতানিকারক হওয়ার সুযোগও এদেশের রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
রাজধানীতে বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে স্থগিত হওয়া জিএসপি পুনর্বহাল এবং জিএসপির মধ্যে তৈরি পোশাক অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান বিজিএমএ নেতারা।
বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মজীনা বলেন, জিএসপি ফেরত পেতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তার অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক খাতের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে সেরা ব্র্যান্ড হবে। এ জন্য রানা ও তাজরীনের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামসহ সংগঠনের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি সমকালকে বলেন, “পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা যে সত্যি একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি তিনি সে কথাই বলেছেন।”
আতিকুল ইসলাম বলেন, “বৈঠকে বিশেষ করে কারখানার নিরাপত্তা মান ও শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণসহ পোশাক খাতের বিভিন্ন উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে চুক্তি, মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি, শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো- এ সব নিয়ে কথা হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা বিজিএমইএর বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রস্তুতির কথা তাকে জানিয়েছি।”
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে স্থগিত হওয়া জিএসপি পুনর্বহাল এবং পোশাক খাতকে এ সুবিধার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সেদেশের সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।