থার্টি ফাস্ট নাইটে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীতে কোনো ধরণের সভা-সমাবেশের অনুমতি দেবে না পুলিশ। চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিশনার বেনজির আহমেদ একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনন্দ-উৎসব উদযাপনের নামে উচ্ছৃঙ্খলতা-রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মহানগর পুলিশ। এরপরও ফটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি চালানোসহ যেকোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা পরিহারের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও বিভিন্ন ক্রসিং, মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়, মহানগরের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাস্তার ক্রসিং, মোড় কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ করা যাবে না। একইসঙ্গে উন্মুক্ত স্থানেও কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের মঙ্গলবার (থার্টি ফার্স্ট) রাত ৮টার আগে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে ফিরে যেতে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাবি এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কিছু সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণেও নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
নির্দেশনায় অনুযায়ী, রাত ৮টার পর বনানী ক্রসিং ছাড়া বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনকে ঘিরে থাকা সবগুলো ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাত ৮টার পর এসব এলাকার ক্রসিং দিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না, তবে কেউ চাইলে বেরোতে পারবে।
ঢাবি এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও রাত ৮টার পর পলাশী ক্রসিং ছাড়া সবগুলো ক্রসিং বন্ধ থাকবে। এসব এলাকার ক্রসিংগুলো দিয়েও ৮টার পর প্রবেশ করা যাবে না, তবে বের হওয়া যাবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী থার্টি ফার্স্ট নাইটে এসব এলাকায় যেকোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইংরেজি নববর্ষ-২০১৪ উদ্যাপন নির্বিঘ্ন করতে সম্মানিত নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মিলি বিশ্বাস, গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার ইব্রাহিম ফাতেমী, উপ-কমিশনার মিডিয়া মাসুদুর রহমান, উপ-কমিশনার ট্রাফিক বিভাগ ইমরান হাবিব সহ পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তারা।