বিরোধী দলকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ করে দেয়া সরকারের দায়িত্ব
বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারের দায়িত্ব বিরোধী দলকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ করে দেয়া। আর বিরোধী দলের দায়িত্ব এই সুযোগ শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। এসময় খালেদা জিয়ার দুই উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন।
সুপ্রিম কোর্ট, প্রেসকাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। কোনোভাবেই এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত না।
সম্প্রতি বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে মজিনা বলেন, যারা নিজ গণতান্ত্রিক অধিকার শান্তিপূর্ণভাবে চর্চা করতে চায়, তাদের ওপর এ বিষয়টি ভীতিমূলক প্রভাব ফেলে। দুই পরে মধ্যে ভবিষ্যতে সংলাপের সাফল্যের ক্ষেত্রে এই নেতাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনার বিষয় তুলে ধরে বিবৃতিতে মজিনা বলেন, আমি ও বিএনপির চেয়ারপারসন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। সব দলকে সহিসংতা বন্ধে আমাদের আহ্বান আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি। কারণ সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটি অগ্রহণযোগ্য এবং এখনই তা থামাতে হবে। দলগুলোর জন্য সংলাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খোঁজা এখন আরো জরুরি হয়ে পড়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)-এর এক সদস্য জানান, পুলিশের সংখ্যা কিছুটা কমানো হয়েছে। কিন্তু নজরদারি রয়েছে আগের মতোই। অবরুদ্ধ অবস্থায় খালেদা জিয়ার সাথে কেবল মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজীনা বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া আর কোনো দলীয় নেতাকর্মী বা অন্য কেউ বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় প্রবেশ করতে পারেনি।