জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলে উঠছে বাংলাদেশ পরিস্থিতি

জাতিসংঘের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশে চমকে ওঠার মতো তথ্য উপস্থাপন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত ডা. মুজিবর রহমান মজুমদার এবং জাহিদ এফ. সরদার সাদী। গত শনিবার অপরাহ্নে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত তারানকোর প্রস্তাব অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে শেখ হাসিনা সরে না দাঁড়ালে জাতিসংঘ বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করবে এবং নতুন বছরের শুরুতেই সিকিউরিটি কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি এজেন্ডা হিসেবে আসছে।
গত মাসের ২০ তারিখে  এবং এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উভয়কক্ষে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর জাতিসংঘ সিকিউরিটি কাউন্সিলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সবিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে বক্তারা উলে্লখ করেন। এ সময় ঢাকায় গণতানি্ত্রক অভিযাত্রা বানচালের জন্যে সরকার ভয়ংকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারি আচরণ করে অতীতেও কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কে বসবাসরত দুই বিএনপি নেতাকে বেগম জিয়া তার  বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত নিয়োগের পর ডা. মজিবর রহমান মজুমদার এবং জাহিদ এফ সরকার সাদীর এটাই প্রথম শো-ডাউন-যা থেকে বাংলাদেশের ব্যাপারে চমকপ্রদ তথ্য জানানো হলো।
মার্চ ফর ডেমোক্রেসির সমর্থনে জাতিসংঘের সামনে  যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র এই  বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত  ডাঃ মুজিবর রহমান মজুমদার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ. সরদার সাদী।
দেশনেত্রী বেগম জিয়া ঘোষিত ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ গ্রহন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সাথে সাথে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের ঘোষিত ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনকে না বলা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সংগ্রামকে হ্যাঁ বলার জন্য সবাইকে উদাত্ত্ব আহ্বান জানানো হয়। বর্তমান নব্য বাকশালী সরকার একদলীয় নির্বাচন করে দেশকে সিকিম, ভূটান মত করদ রাজ্যে করার ষড়যন্ত্র চলতেছে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমান সরকার ভোটার বিহীন নির্বাচন করে সংবিধান ও মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। এই নির্বাচন দেশের সাধারণ জনগণ ও বর্হিঃবিশ্ব মেনে নেবে না। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বাতিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশে যৌথ বাহিনী কর্তৃক বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা ও জুলুম নির্যাতন করে জেলে প্রেরণ ও জনগণের মতের তোয়াক্কা না করে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে গৃহযুদ্ধ যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রকে যৌথভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও অংশ সংগঠনের নেতা শামসুল ইসলাম মজনু, আবদুস সবুর, মনজুর আহমদ চৌধুরী, বৃহত্তর ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ডাঃ গোলজার, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, গিয়াস মজুমদার নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কেন্দ্রিয় কমিটির চেয়ারম্যান  আফতাব হোসেন বাদল, বরিশাল বিভাগীয় জাতীয়বাদী ফোরামের সভাপতি জাফর তালুকদার , তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান  ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয়  নেতা পারভেজ সাজ্জাদ,  ছৈয়দুল হক, শফিকুর রহমান দুলাল, ডাঃ জাহিদ দেওয়ান শামীম, জসিম উদ্দিন ভি.পি., মোহাম্মদ শাহাজাহান, তোফায়েল চৌধুরী লিটন, আমিনুল ইসলাম কবি, সামছুর রহমান, শফিক খান, আবদুল করিম, এস মিয়া তৌহিদ, শাহাদত হোসেন রাজু, এডভোকেট খায়রুল বাশার, বদরুল হক আজাদ, আরিফ হোসেন মিথুন, জাহাঙ্গীর আলম, জারারুল ইসলাম দুলাল, মোঃ সোলায়মান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button