ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় বিশ্ববাসী স্বাগত জানালো নতুন বছরকে
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববাসী নতুন বছর ২০১৪ বরণ করে নিল। সময়ের বহমান স্রোতে হারিয়ে গেলো আরো একটি বছর। পুরোনো বছরকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে দুয়ারে দাঁড়ানো নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববাসী। ২০১৪ সালকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আঙ্গিকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী অকল্যান্ডেই প্রথম স্বাগত জানানো হয় ২০১৪ সালকে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হারবার ব্রিজে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। সেখানে আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়।
বর্ষবরণে পিছিয়ে নেই পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। চীনের রাজধানী বেইজিং, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জার্কাতা ও সিঙ্গাপুরেও হাজার হাজার মানুষ স্বাগত জানিয়েছে নতুন বছরকে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ক্রেমলিনেও নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে আতশবাজির মধ্য দিয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে ২০১৪ সালকে বরণ করে নেয়া উপলক্ষ্যে রেকর্ড করতে সবচেয়ে বড় আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছিল।
জাপানের ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রার্থনালয়ে জড়ো হয়ে পরিবারের মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে আনুমানিক এক হাজার মানুষ জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বরণ করেছে নতুন বছর।
এ ছাড়া পূর্ব ইউরোপ, জার্মানির রাজধানী বার্লিন ও ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসেও নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে আতশবাজির বর্ণিল জাঁকজমকতার মাঝে।
নতুন বছর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লন্ডনের বিগ বেন ও টেমস নদীর পাশে আতশবাজির পাশাপাশি জনতার উদ্দেশে ছিটানো হয় পিচফলের সুগন্ধযুক্ত তুষার ও মিষ্টান্ন দ্রব্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপ টাউনে নতুন বছরের শুরুতে আয়োজন করা হয় লেজার প্রদর্শনী, আতশবাজি ও কনসার্টের। একইসঙ্গে সদ্য প্রয়াত বর্ণবাদবিরোধী অবিসাংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজন করা হয় বিশেষ থ্রিডি প্রদর্শনীর।
নিউইয়র্কে ঐতিহ্যগতভাবেই নতুন বছরের শুরুর আগে সময় গণনা শুরু হয়। অন্যদিকে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওর কোপাকাবানা বিচে প্রায় ২০ লাখ মানুষ স্বাগত জানায় নতুন বছরকে।