মোশাররফের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচার শুরু
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার বিচার গতকাল শুরু হয়েছে। একটি বিশেষ আদালতে তার অনুপস্থিতিতেই শুনানি চলছে। এএফপি ও ডন।
মোশাররফের আইনজীবী আহমেদ রাজা কাসুরি আদালতে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে তার মক্কেল আদালতে হাজির হতে পারছেন না। তিনি সোমবার মুশাররফের বাসভবনে যাওয়ার পথে পেতে রাখা বিস্ফোরক উদ্ধারের কথা জানান। কাসুরি দাবি করেন, সাবেক সেনাশাসককে আদালতে আনা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বিচার বিভাগকে দায়ী থাকতে হবে। তিনি বলেন, শত্রু বোমা হামলা চালিয়ে মোশাররফকে হত্যা করার চেষ্টা করবে এবং সে হামলায় বিচারকের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। গত ২৪ ডিসেম্বর এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মোশাররফকে আদালতে নেয়ার পথে পুলিশ কিছু বিস্ফোরকদ্রব্য ও একটি ডেটোনেটর পাওয়ার পর তা পিছিয়ে যায়। ৭০ বছর বয়সী মোশাররফের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের নভেম্বরে দেশে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগ আনা হয়েছে।
কিন্তু মোশাররফ ও তার আইনজীবীরা একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। পারভেজ মোশাররফ গত মার্চে স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। মোশাররফই পাকিস্তানের প্রথম সাবেক সেনাপ্রধান যাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। তাই এর ফলে পাকিস্তান সরকার ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোশাররফ রোববার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাকে তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা উল্লেখ করে দাবি করেন তার পেছনে সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে। ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে নিজের খামারবাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বলবো পুরো সেনাবাহিনী মনুণœ। আমি সামনে থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছি।