দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে : শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছেন, আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্যের হার ২৬ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি রুপকল্প-২০২১ এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন বাংলাদেশকে আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া নির্বাচনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গত নির্বাচনের আগে আমরা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিলাম।
আমাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা যেখানে মাথাপ্রতি গড় আয় বর্তমানের ১০৪৪ ডলার থেকে বেড়ে ১৫০০ ডলারে উন্নীত করা হবে। প্রবৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশ এবং দারিদ্র্যের হার বর্তমান ২৬ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো। ২০১৬ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার আরো সহজলভ্য আমরা করবো।
সরকার গঠন করতে পারলে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় গ্যাস সরবরাহেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এবার অগ্রাধিকার দিতে চাই সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণকে। আমরা চাই, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে। নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সংসদ সদস্যদের সামষ্টিক ও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে। আইনের সমান প্রয়োগ, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।