রাজনৈতিক অস্থিরতায় রেমিট্যান্সে ভাটা
সদ্য বিদায়ী বছর ২০১৩ সালে নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অন্যান্য খাতের মতো রেমিট্যান্সে খাতেও ভাটা পড়েছে। ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে রেমিট্যান্সে আয় কমেছে ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১০৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। এছাড়া বছরজুড়ে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। ২০১২ সালে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ৪৮ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এদিকে, সদ্যসমাপ্ত বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দর বেড়েছে দুই দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত বছর শেষে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার গড় দর দাঁড়ায় ৭৭ টাকা ৭৫ পয়সা। ২০১২ সালের শেষ দিনে এ দর ছিল ৭৯ টাকা ৯৩ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার না কিনলে টাকা আরও শক্তিশালী হতো। এছাড়া টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দরপতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ডলার কেনা অব্যাহত রেখেছে। সব দিকে পতন হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার কেনার অতিরিক্ত প্রবণতায় রিজার্ভের পরিমাণও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখের সংবাদ নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২০১৩ সালে আর্থিক খাতে ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার সব কিছুই ছিল নাজুক অবস্থায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাজস্ব আদায় ভাটা, বিনিয়োগে খরা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ধীরগতি ইত্যাদি বছরজুড়ে আর্থিক খাতকে সুদৃঢ় অবস্থায় দাঁড়াতে দেয়নি। তাছাড়া নানা কেলেঙ্কারি ব্যাংকিং খাতকে একেবারে দুর্বল করে ফেলেছে।