একতরফা সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রবিবার
হেদায়েত উল্যাহ সীমান্ত : গণমানুষের দাবি ও বিরোধী জোটের আন্দোলন উপেক্ষা করে একতরফা ও প্রশ্নবিদ্ধ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সারাদেশে বিরাজ করছে আতঙ্ক। উদ্বিগ্ন রয়েছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সহ প্রার্থীরাও। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৫৯টি জেলার ১৪৭ আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণে মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাকি ১৫৩টি আসনে একক প্রার্থী থাকায় ওই আসনগুলোতে নির্বাচন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় বিরোধী দল বিএনপিসহ ২৮টি নিবন্ধিত দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন বানচালে করতে নাশকতার আশঙ্কা করছে সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খোদ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম নির্বাচনের দিন বোমা হামলার আশঙ্কা করছেন।
গত ১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যরান্টি দিতে পারছি না। নির্বাচনের দিন দুর্বৃতরা বোমা হামলা করতে পারে।
এ শঙ্কা থেকেই নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিরাপত্তার কাজে সেনা বাহিনীসহ পৌনে চার লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে কমসংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচনে অংশ নেবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার আশায় নির্বাচন কমিশন অপেক্ষা করেছে। কিন্তু কোনো ধরনের সমঝোতা না হয়নি। নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ থাকলে আমাদের কাছেও ভালো লাগতো।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মোট ভোটার ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ জন। সারাদেশে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭০৮টি ও ভোটকক্ষ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই সব আসনে ভোটগ্রহণ হবে না। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৯০ জন। এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা চার কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১৮ হাজার ২০৯টি ও ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩টি।
বিগত ৯টি নির্বাচনের তুলনায় সবদিক থেকে রেকর্ড হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দিক থেকে সবচেয়ে কম, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রেকর্ড, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনাস্থা এবং কমসংখ্যক দলের অংশগ্রহণ এ নির্বাচনে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনী বৈতরণী পার করাই নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। কারণ নির্বাচনটি সংবিধান রক্ষার নির্বাচন বলা হচ্ছে। সরকার এবং কমিশন উভয়ই এ ব্যাপারে একই ধরনের কথা বলছেন।
এদিকে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার সকাল ৮টা থেকে মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশসহ সবধরনের প্রচার ও প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাত ১২টা থেকেই সবধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বাচনী এলাকায় ৩ ও ৪ জানুয়ারি খোলা থাকবে সব তফসিলি ব্যাংক।
আর ৫৯ জেলার ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির কাজ আজ শেষ হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত প্রশিক্ষিত আড়াই লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও প্রাথী : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ৩৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের ১২০, জাতীয় পার্টির ৬৬, জাতীয় পার্টি-জেপির ২৭, গণতন্ত্রী পার্টি ১, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৬, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২১, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩, গণফ্রন্টের ১, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ১, বিএনএফের ২২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে এক হাজার ১০৭ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয় ২৩০ জনের। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ৩৩৪ জন। আর বৈধ প্রার্থী ছিল ৫৪৩ জন। তার থেকে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯০ জন। এর আগে সর্বোচ্চ বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৯ জন নির্বাচিত হয়।
দলভিত্তিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যারা : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে মোট ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লা- ৮ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে নির্দেশনায় অপর এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এর ফলে ওই আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১২৭ জন, জাতীয় পার্টির ২০ জন, জাসদের ৩ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দুইজন ও জাতীয় পার্টি-জেপির একজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ৪৯ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সংসদের স্থায়িত্ব ছিল ১১ দিন। এরপর ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল হওয়া নির্বাচনে ১৮ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। অতীতেরর সব রেকর্ড ভঙ্গ করতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পৌনে চার লাখ সদস্য মোতায়েন : সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে তিন স্তরে সশস্ত্র বাহিনীসহ পৌনে চার লাখ সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য মাঠে রয়েছে।
এ ছাড়া ১৬ হাজার ১৮১ জন বিজিবি, র্যাব ৮ হাজার, পুলিশ ৮০ হাজার, আনসার ২ লাখ ২০ হাজার ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের দুই শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সাধারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২/৩ জন অস্ত্রসহ পুলিশ এবং পর্যাপ্ত আনসার নিয়োজিত থাকবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে যথাক্রমে ৪ ও ৬ জন অস্ত্রসহ পুলিশ এবং পর্যাপ্ত আনসার দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওড় এলাকায় সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে যথাক্রমে ৩ ও ৪ জন অস্ত্রসহ পুলিশ এবং পর্যাপ্ত আনসার নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন কর্মকর্তা : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মোট রিটার্নিং কর্মকর্তার সংখ্যা ৬৬ জন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ৫৭৭ জন। যে ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ওইসব আসনে ৬১ জন (দুই জন বিভাগীয় কমিশনার ও ৫৯ জন জেলা প্রশাসক) রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন ২৮৭ জন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সংখ্যা ১৮ হাজার ২০৯ জন। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৯১ হাজার ২১৩ জন ও পোলিং কর্মকর্তা ১ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬ জন। নির্বাচনে দুই সদস্যবিশিষ্ট ইলেক্টোরাল তদন্ত কমিটির সংখ্যা ১০৩টি। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৭ জন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২৯৪ জন। বিচারিক ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী আইন লংঘনকারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারবেন।
দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক : বিরোধী দলহীন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না বলে ইসিকে জানিয়ে দিয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠালেও এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ এ নির্বাচন পর্যবেক্ষক করবে না। তবে কমিশনের অনুরোধে সার্কভুক্ত দুটি দেশের চারজন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছেন। এছাড়া দেশীয় ২২টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ১০ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে ইসি।
ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়া : নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা দ্রুত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায় থেকে ফল সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুক্রবার তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এবার ম্যানুয়েল ও ডিজিটাল উভয় পদ্ধতিতে ফলাফল সংগ্রহ করবে কমিশন।
এর আগে নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সিইসি তার ভাষণে বলেন, নির্বাচনী ফলাফলকে ঘিরে বিভ্রান্তিনিরসন ও রাজনৈতিক দলের আস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনী আইনের বিধান অনুসারে আগামী নির্বাচনে প্রত্যেক কেন্দ্রে ভোট গণনার পর প্রিজাইডিং অফিসার প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল অতীতের মত শুধু অংকে লিখবেন না, কথায়ও লিখবেন।
প্রিসাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করার পর এজেন্টদের স্বাক্ষরকৃত রেজাল্টশিট রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রেরণ করবেন এবং তার একটি কপি ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। যত রাতই হোক না কেন ভোটকেন্দ্র থেকে রেজাল্টশিট জমা না হওয়া পর্যন্তডাকঘর খোলা রাখা হবে।
নির্বাচনী খরচ : নির্বাচন পরিচালনা খাতে ৬৭ কোটি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা খাতে ১৪৭ কোটিসহ মোট ২১৪ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীর জন্য ৫৪ কোটি, পুলিশ-র্যাব ৪৩ কোটি, আনসার ৪৪ কোটি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১ লাখ, কোস্টগার্ড সোয়া ৮ লাখ ও বিজিবির জন্য ১৫ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ১৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাবন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ গত ২৫ নভেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচনের সময়সীমা শেষ হওয়ার ১৯ দিন হাতে রেখে ভোটগ্রহণ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এক নজরে ৯ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : মহান স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশে নয়টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। নয়টি সংসদের মধ্যে দুটি সংসদ ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করেছে। নবম জাতীয় সংসদ মেয়াদ পূর্তি করতে যাচ্ছে।
কমিশনের রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রথম থেকে নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালের ৭ মে, ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
আর সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য এমএ আজিজ কমিশন পাঁচবার তফসিল ঘোষণা করে। এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন চারবার তফসিল পরিবর্তন করেছিল।