ফেলানী হত্যার তিন বছর
বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে নিহত কিশোরী ফেলানীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০১১ সালের এই দিনে বিএসএফ’র গুলিতে মারা যায় এ কিশোরী। মৃত্যুর পর তার লাশ কাটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল।
ফেলানী ফুলবাড়ীর উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এ সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
সেই ছবি প্রকাশের পর দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। নির্মম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ঝড় উঠে সারাদেশে।
ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর দক্ষিণ রামখানা কলোনীটারী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৩ই আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহরের কাছে সোনারি বিএসএফের ছাউনিতে বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত মামলার প্রধান আসামি অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন।