২০ বছর বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হবে ঐতিহ্যবাহী পপলার বাথ

Poplar Bathদীর্ঘ প্রায় ২০ বছর বন্ধ থাকা এবং স্থানীয় বাসীন্দাদের ১০/১৫ বছরের ক্যাম্পেইনের পর টাওয়ার হ্যামলেটসে আবারো চালু হবে ঐতিহ্যবাহী পপলার বাথ। শুরু হবে পুর্ন নির্মান কার্যক্রম। এতে থাকবে দুটি সুইমিং পুল,হাউজিং ও লেসার ফেসেলিটি। এই প্রজেক্ট এর সাথে স্টেপনি‘তে নির্মিয়মান ডেমকোলেট হাউস ইয়ুথ সেন্টার মিলিয়ে ব্যয় হবে ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড। মংগলবার পূর্ন প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম শুরুর পূর্বে এই প্রজেক্টের সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে যোগদেন নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান। তিনি জানান, পপলার বাথ প্রকল্পে নির্মিতব্য বাড়ীগুলোর শতভাগই কাউন্সিলের সাধারণ জনগনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তৈরী হবে দুটি সুইমিংপুল ও অত্যাধুনিক লেইজার সেন্টার। এটা ছিলো আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কথা অনুযায়ী কাউন্সিল ফান্ডিং-এ এই বিশাল প্রজেক্ট এর সূচনা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে নির্বাহী মেয়রের প্রতি কৃত¹তা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন পপলার বাথ স্টিয়ারিং গ্রুপের নেত্রী লিল কলিন্স। তিনি বলেন, বিভিন্ন কাউন্সিল নেতা এবং খোদ কাউন্সিল আমাদেরকে বেশ কয়েক বছর ঘুরিয়েছে। নানা বাধা বিপত্তি এসেছে সবসময়। কিন্তু আমরা থেমে যাইনি। অবশেষে মেয়র লুতফুর দায়িত্ব পেয়েই এ নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং আমাদের আশাকে বাস্তবে নিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য প্রায় দেড়শ বছর আগে ১৮৫২ সালে গৌরবের সাথে যাত্রা শুরু করে পপলার বাথ।  প্রতিষ্ঠাকালে ব্যয় হয়েছিলো মাত্র ১০ হাজার পাউন্ড। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ঐতিহাসিক এই বাথে সাতার কাটার ব্যবস্থা ছিলো। আজকের বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেক বয়োজেষ্ঠ ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা সে সময়ের এই আধুুনিক পাবলিক বাথ ব্যবহার করেছেন। নানা সংকটে এটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে রক্ষানাবক্ষেন ও নিরপত্তায় বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও এর উন্নয়ন হয়নি। অবশেষে স্থানীয় বাসীন্দাদের অব্যাহত ক্যাম্পেইন-এর পর আবারো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে পপলার বাথ। এতে শুধু ইয়থ এন্ড লেজার ফেসেলিটি নয়, নির্মিত হবে ৬০ টি সোস্যাল হাউজ।
সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে পপলার বাথ এর নির্মান প্রতিষ্ঠান  গিল্ডমুরি‘র পক্ষ থেকে আয়োজিত আর্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আার্থিক পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পুরস্কৃত হয় স্থাণীয় সেন্ট পলস ট্রাস্ট স্কুল এবং কেলি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
পপলার বাথের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা,ব্যবসায়ী সিরাজ হক, জিএসসির চেয়ারপার্সন নুরুল ইসলাম মাহবুব, কাউন্সিলার গোলাম রব্বানী ও কাউন্সিলার মাইয়ুম মিয়াসহ আরো অনেকে। বক্তৃতা করেন ডেভোলাপার প্রতিষ্টানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button