মানবাধিকার লংঘনে উদ্বিগ্ন দেশের জনগণ
আবু মালিহা
বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ জনগণের ব্যাপারেও মানবাধিকার লংঘন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিশেষত: শিশু এবং নারী সহ নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষও এ আক্রমণের ধারা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। তবে এ লংঘন যে একতরফা ভাবে হচ্ছে তা কিন্তু নয়। সরকারী মদদে হয়তোবা একটু বেশীই হচ্ছে, তবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণের মধ্যেও এ ব্যাপারে মারাত্মক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে কোন কোন ক্ষেত্রে। সুষ্ঠু এবং বাস্তব পরিসংখ্যান না থাকলেও মিডিয়া এবং বিভিন্ন তথ্যসূত্রে নানা ধরনের নির্যাতন সংঘটনের রূপটি চিত্রায়িত হয়ে আমাদের সামনে চলে আসে যা দেখে আঁতকে উঠতে হয় মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখে। বিশেষ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই মানবাধিকার লংঘন ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের সর্বত্র। সীমাহীন দুর্নীতিতে সয়লাব হয়ে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড পঙ্গুত্বের আকারে দাঁড়িয়েছে, যার প্রভাব কোন না কোন ভাবে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মানবতার প্রতি অর্থনৈতিক নিষ্ঠুর কষাঘাতের শিকার হতে চলেছে জনগণের অর্থনৈতিক মেরুদন্ডে। এতে মানবাধিকার লংঘনের জন্য অর্থপীড়নের বিরাট প্রভাব কাজ করছে। যা নিত্যকার ঘটনা প্রভাবে প্রায়ই পরিলক্ষিত হচ্ছে। অর্থ লোলুপ সরকারী মন্ত্রী এবং ছত্রছায়ায় গডফাদারদের অবৈধ এবং অনৈতিক অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একে অন্যের জায়গা দখল থেকে শুরু করে সরকারী ঠিকাদারী সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দলীয় গুন্ডাবাহিনীর দারা সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে হত্যাকান্ড সংঘটন সহ নানা প্রকার বিভৎস কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনশান্তি হরণ বা আইন-শৃঙ্খলার চরম লংঘন করে মানবাধিকার লংঘনের শত ঘটনাই এখন সরকারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে একের পর এক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সাধারণ জনগণের আরামের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে দিনে দিনে।
হত্যা, খুন, জখম, অপহরণ এগুলো নিত্যকার ঘটনায় রূপ নিয়েছে বর্তমান সময়ে। বিভিন্ন দলীয় গুন্ডাবাহিনী কর্তৃক সরকারী ছত্রছায়ায় সিংহভাগ ঘটনার জন্য দায়ী। সাধারণ মানুষ আজ স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি থেকে অনেক দূরে। ভয়, উৎকন্ঠা, উদ্বেগ আর হতাশজনিত নানা ঘটনার ব্যাপক বিস্তৃতি দেশের সর্বত্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জনপদে পরিণত হয়েছে। সামাজিক অবক্ষয় ও অনৈতিক চরিত্রস্খলনজনিত এসব কর্মকান্ড দ্বারা সমাজ প্রতিনিয়ত বিভৎস্য রূপে চিত্রায়িত হয়ে সভ্য এবং ভদ্র সমাজের পরিবেশ একরকম ধ্বংস প্রায়। এর থেকে উত্তরনের কোন দাওয়াই যেন কাজে লাগছেনা। বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন সহ বহু মানবাধিকার সংস্থা রয়েছে কিন্তু কেউ একথা পরিষ্কারভাবে বলছেন না যে মানবাধিকার লংঘন থেকে উত্তরনের প্রকৃষ্ট উপায় কী? শুধুমাত্র আলাপ-আলোচনা আর সেমিনার সিম্পোজিয়মের মাধ্যমে শোরগোল করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন। তাতে কোন কাজের কাজ হচ্ছেনা বা ভাল কোন উপায়ও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, যারা এ সমস্তের খরবদারী করছেন বা আন্দোলনের নামে হাঁকডাক করছেন তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোও তো জানতে হবে যে, কেমন করে তারা সমাধান খুঁজছেন বা কোননীতি বাস্তবায়ন হলে সামাজিক এ সমস্ত অপরাধ প্রবণতা দূর করা যায় বা কমিয়ে আনা যায়। একটি দেশের ভেতর যে সমস্ত কারণে অপরাধ সংঘটিত হয় সে সমস্ত কারণগুলো চিহ্নিত করে যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা ‘সামাজিক অপরাধ দমন’ কমিশন গঠন করে এবং সরকারী লজিষ্টিক সাপোর্ট নিয়ে যদি শুদ্ধি অভিযানমূলক কার্যক্রম প্রতিনিয়ত সমাজের বিভিন্ন এলাকায় বা প্রশাসনের বিভিন্ন থানা বা উপজেলা ভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন করে ডকুমেন্টারী তত্ত্বাবধান করা যায় তবে সমাজের সর্বমহলের সহযোগিতার মাধ্যমে অপরাধ দমনের চেষ্টা কিছুটা হলেও সফল হতে পারে। দ্বিতীয়ত: সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে অপরাধ দমন বিভাগের কিছু প্রশিক্ষিত সদস্যদের দ্বারা কমিশন গঠন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ‘ক্রাইম সার্চ অপারেশন’ বা ‘নৈতিক শুদ্ধি অভিযানের’ মাধ্যমে অপরাধ মুক্ত সমাজ গঠনে একটি বিশেষ ভূমিকা রাখা যায়। তৃতীয়ত: যে কথাটি বলতে চাই, তা হচ্ছে এদেশের ৯০ ভাগ জনসাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ। যাদের নৈতিক ভিত্তি অর্জিত হয় ধর্মীয় নীতিমালা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে। অতএব ‘ধর্মীয় প্রশিক্ষণ শালা’ নির্মাণ করে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা ধর্মগুরুর মাধ্যমে আত্মিক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ নৈতিক গুণাবলী অর্জনের লক্ষ্যে সমাজের যুব সমাজের কাছে এর দাওয়াত নিয়মিতভাবে পৌছাতে পারলে অথবা এদের সংগঠিত করে ‘প্রশিক্ষণ শিবির’ নামে সামাজিক যুব ফোরাম গঠন করে নৈতিক এবং চারিত্রিক মান উন্নত করার মাধ্যমে সমাজের বহু অপরাধ প্রবণতাকে দূর করা যায়। একটি কথা প্রণিধান যোগ্য যে, ব্যক্তির চারিত্রিক মান উন্নত করা ছাড়া সমাজের কোন ধরনের অপরাধ প্রবনতার উৎস বা কর্মকান্ডের মূলোৎপাটন করা সম্ভবপর নয়। নৈতিকভাবে যে সমাজ উন্নত হবেনা, সে সমাজ যতই আধুনিক প্রগতিশীল সমাজ উপহার দিকনা কেন তা দিয়ে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বা সুষ্ঠু ও নৈতিক সমাজ গড়ে উঠবেনা। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে নৈতিকতার অভাবে জাগতিক প্রগতিশীল দেশও ধ্বংসের কবলে পড়ে যায়। কোন সমাজ বা রাষ্ট্রদেহের কাঠামোকে সুগঠিত বা মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তার একমাত্র নিয়ামক শক্তি হলো নৈতিকতা।
অতএব কোন ধরনের চারিত্রিক নৈতিক কাঠামো ছাড়া সমাজ দেহের নানা ধরনের অপরাধ বা মানবতা লংঘনের মত দুষ্কর্ম সমাজ থেকে বিতাড়িত করা কোন কালেই সম্ভব হবেনা। বিশেষ করে মুসলিম সমাজে সে ধরনের নৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ঘোষিত হয়েছে যে, ‘‘সালাত (নামাজ) নানা প্রকার অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে’’। (সূরা-আনকাবুত : আয়াত-৪৫)
সঙ্গত কারণেই মানবীয় চরিত্রের উৎকর্ষ বিকাশের জন্য ঈমানদার মুসলিমদেরকে নামাজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ধর্মেই ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে চরিত্রের উৎকর্ষ বিধানের লক্ষ্যে বহু হিত বাক্য বা পরামর্শ আছে, শুধুমাত্র সমাজ দেহকে নৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য।
অতএব অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য নৈতিকতা অপরিহার্য শর্ত বলেই বিবেচ্য। এ ব্যাপারে সবধর্মের মতামত একইরূপ। অতএব বর্তমান যুগে যারা ধর্মবিহীন সমাজ কাঠামো নির্মাণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন বোধ করি সমাজ দেহে নৈতিকতার ধস ঘটিয়ে অপরাধ প্রবণ সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লংঘনের জন্য তাদের চেয়ে বড় অংশীদার আর কে হতে পারে? এ বিষয়টি সমাজের সবাইকে অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের যেন হিড়িক পড়েছে। বেপরোয়া ভাবে রাজনৈতিক ও মানবিক নির্যাতনের এক বিভৎস মহড়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সরকার দলীয় পক্ষের নানা রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে এবং বিরোধী দলের সরকার বিরোধী নানা তৎপরতার মোড়কে। এ যেন এক দৈত্যপুরীর জঙ্গল দখলের ন্যায় নিজেদের আগ্রাসী চেতনার নির্লজ্জ স্বার্থ হাসিলের জন্য খুন, জখম, লুটপাট এবং নিরীহ জনসাধারণকে জিম্মি করে ইতিহাসের জঘন্যতম মানবাধিকার লংঘনের মাধ্যমে দেশকে অরাজকতার এক স্বার্গরাজ্যে পরিণত করে চলেছে রাজনৈতিক হানাহানির মাধ্যমে। এমনতরো বিভৎস চিত্র আমাদের প্রায়ই অবলোকন করতে হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হরতাল, অবরোধ বা সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য বাস পুড়িয়ে, রেললাইন উপড়ে ফেলে, যাত্রীবাহী বাসে গান পাউডারের মাধ্যমে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা সহ জঘন্যতম মানবতা ধ্বংসের হোলিখেলা এ কোন নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পাঁয়তারা চলছে। যা দেখে বিশ্ববিবেক স্তম্ভিত না হয়ে পারেনা। তাই আজ বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে যে, এর পেছনে কোন শক্তি কাজ করছে? মানবতার এমন জঘন্য শত্রু কারা। আর তাদের মদদ পুষ্টরাই বা কারা? জাতিকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে যে, রাজনীতির নামে এ কোন ধ্বংসযজ্ঞের বেপরোয়া মহড়া।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের পরিসংখ্যান যাই বলুকনা কেন, এ যে একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার গভীর নীল নকশা, এতে কোন সন্দেহ নেই। এদেশে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে বিশ্বের বুকে এখনো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। একে বিনষ্ট করার অশুভ রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উন্মাদনার প্রেতাত্মারা যে গোষ্ঠীরই হোক, তাদেরকে যদি অচিরেই নিবৃত্ত করা না যায় তবে এ আশংকা মোটেই অলীক নয় যে, তারা যে কোন সময়ে এদেশে ইরাক, আফগানিস্তানের মত তাদেরই কোপানলে বন্দী করে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠতে পারে। তাই মানবাধিকার লংঘনের মত ঘটনা প্রবাহগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি দমন করা না যায় তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ফলে দেশকে গভীর সংকটে ফেলে উগ্র যায়নবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীদের এদেশে আগমনের পথ সহজ করে দিয়ে চিরতরে মানবতার কবর রচনার পথকে সুগম করে দিবে। তাই এক শ্রেণীর ধর্ম বিদ্বেষী-নাস্তিক-মুরতাদরা যাতে এদেশকে কোনক্রমেই তাদের কূটচালে বন্দী হতে না পারে সেজন্য সচেতন ধার্মিক ও মানবপ্রেমিক জনগণের এখনই সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি মানবতা সংরক্ষণের দাবিদার সংগঠনগুলোর প্রধান ব্যক্তিদের ধর্মে আসক্তি ও দেশপ্রেমিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। নাহলে মানবাধিকার কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের দ্বারা আরো বেশী মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার হোতা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। তাই যাকে তাকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কোন দায়িত্ব বর্তিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।
বিশেষ করে মুসলিম প্রধান দেশে কোন অনৈসলামিক ব্যক্তিত্বকে বসিয়ে দিলে (যাদের কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই বা আদৌও ইসলামের অনুসারী নয়) তাদের দ্বারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বদলে মানবতাকে কলঙ্কিত করার প্রয়াস পায়। আদর্শবাদী কোন ব্যক্তিত্বকে এই পদে না বসালে মানবতার প্রতি বেইনসাফী আচরণ ঘটাবার সম্ভাবনাই বেশী থাকে। কোন ধরনের সেক্যুলারিজম বা সাম্রাজ্যবাদীদের অনুসারী ব্যক্তিকে যদি এ সমস্ত পদে সমাসীন করা হয় তবে একদেশদর্শী বা স্থূলবুদ্ধি সম্পন্ন নৈতিক অবক্ষয়জনিত দোষে দুষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে বিধায় তাদের দ্বারা মানবতার কল্যাণ সাধন আদৌ সম্ভবপর নয়।
পরিশেষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার বিধিমালা অনুসরণ করে নৈতিক জ্ঞান ও ইসলামী ভাবধারায় প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের যদি এ সমস্ত পদে অধিষ্ঠিত করা যায় (বিশেষ করে বাংলাদেশে) তবে আশা করা যায়, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের বেলায় ইনসাফপূর্ণ আচরণ অব্যাহত থাকবে এবং মানবতার কল্যাণে সবার প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠাপূর্ণ কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের মর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়টি সামগ্রিকভাবে স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নতুবা তথাকথিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের দ্বারা বাংলাদেশে সুস্থ্য ও কল্যাণধর্মী মানব সমাজ প্রতিষ্ঠা করা দূরূহ হয়ে উঠবে, একথা বলাই বাহুল্য।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিষ্ট, মোবাঃ ০১৭১৬-৮৯৫৮২২।