সহিংস কর্মকান্ডে এফবিসিসিআই’র উদ্বেগ প্রকাশ
দশম জাতীয় নিবার্চন পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও বাসস্থানে হামলা ও নির্যাতন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হত্যা ও সহিংসতা এবং টানা অবরোধে-হরতাল ডাকায় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার গনমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
একইসাথে সংগঠনটি দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিরাজমান সহিংস ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডকে দমন এবং এর সাথে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদেরকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যশোরের অভয়নগরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালোপাড়ায়, দিনাজপুরে সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কর্ণাই গ্রামের ছয়টি পাড়ায় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও লুটপাটের ঘটনা এবং ঢাকা জেলার দোহারে কুপিয়ে মানুষ হত্যা, পেট্রোলবোমা মেরে মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবরে ব্যবসায়ী সমাজ আতংকিত। এছাড়া নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় হতে টানা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধে ও নির্বাচনের পর ৪৮ ঘন্টা হরতালে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে উপনীত হচ্ছে।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর বর্বর আক্রমণ ও সহিংস কর্মকান্ড দেশের সাধারন নাগরিকসহ ব্যবসায়ী সমাজকে ভীষণভাবে আতংকিত করে তুলছে এবং দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও সংকটময় করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে-যা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারিদের নিরুৎসাহীত করবে বলে মনে করছে এফবিসিসিআই। এতে জাতির বৃহত্তর উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূতি নষ্ট হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নিবার্চনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে কঠোরহস্তে চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাস দমনের ঘোষনা ব্যবসায়ী সমাজ আশ্বস্ত হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ এবং ব্যবসায়ী কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে সগঠনটি মনে করছে।