ব্রিটেনে ভোট জালিয়াতিতে শীর্ষে বাংলাদেশীরা
ইব্রাহিম খলিল: ব্রিটেনে ভোট জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বাংলাদেশীরা। দেশটির জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ভোট জালিয়াতির শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রার্থী, সমর্থক ও নির্বাচনী এলাকাগুলো। নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি রোধে উপায় বের করতে ব্রিটিশ ইলেকটোরাল কমিশনের করা এক গবেষনা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশীদের পরেই ভোট জালিয়াতিতে পাকিস্তানী বংশোদ্ভুতদের নাম উঠে এসেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে লন্ডনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত বরা টাওয়ার হ্যামলেটসসহ ১৬টি বরাকে ভোট জালিয়াতি রোধে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে শ্রেতাঙ্গ বৃটিশ এবং ইউরোপিয়ান বংশোদ্ভুত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগের কথা বলা হলেও বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী এলাকাগুলোর জালিয়াতির মাত্রাকে গুরুতর আখ্যা দিয়ে এসব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইলেকটোরাল কমিশনের চেয়ারম্যান উইমেন জেনি ওয়াটসন তার এক প্রতিক্রিয়ায় বরেছেন, প্রমান সাপেক্ষ ভোট জালিয়াতির বিষয়টি নির্বাচনে প্রার্থী ও সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। আর ভোট জালিয়াতির কেন্দ্রবিন্দুতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানী কমিউনিটির নাম চলে এসেছে সর্বাগ্রে। এ জন্য ভোট জালিয়াতি রোধে শ্রীঘ্রই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আগামীতে ভোট কেন্দ্রসমুহে ভোটারদের ফটো সম্বলিত ভোটার কার্ড প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হবে। যদিও এই নিয়মটি অতীতে শুধুমাত্র নর্দান আয়ারল্যান্ডে বাধ্যতামূলক ছিলো । এখন থেকে ফটো আইডি বৃটেনজুরে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে ইলেকশন কমিশন অবশ্য বলেছে, এটা ভাবা ভূল হবে যে, ভোট জালিয়াতির সাথে শুধুমাত্র সাউথ এশিয়ান কমিউনিটির লোকজনই জড়িত। তাদের মতে, হোয়াইট বৃটিশ, সাউথ এশিয়ান ও ইউরোপিয়ান জাতিগোস্টির লোকজনও ভোট জালিয়াতিতে দোষি সাব্যস্থ হয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ভোট জালিয়াতিতে যে সব কমিউনিটির নাম চলে আসছে, সে সব কমিউনিটি স¤পর্কে আরো খোঁজ খবর নেওয়া হবে। বিশেষ করে যাদের শেকড় পাকিস্তান ও বাংলাদেশে যেখানে এসব জালিয়াতির বিষয় স¤পর্কে নির্দিস্ট অভিযোগ রয়েছে।
ব্রিটেনে ভোট জালিয়াতির ঘটনা তেমন একটা ব্যাপক নয়। তবে কিছু কিছু এলাকার অভিযোগগুলো অতিমাত্রায় উদ্বেগজনক। পোস্টাল ভোটের ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ সবচেয়ে বেশী। তবে কমিশন ¯পস্ট করে বলেছে, সকল প্রকারের জালিয়াতি প্রতিরোধ করে নির্বাচন ব্যবস্থার উপর জনগনের আস্থা পূন:স্থাপন করা হবে।