তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশ

তীব্র শৈত্যপ্রবহে কাঁপছে সারা দেশ। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিু তাপমাত্রা নেমে আসে চুয়াডাঙ্গায় ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে অধিকাংশ জেলার তাপমাত্রাও হ্রাস পেয়েছে। তীব্র শীতে দেশের উত্তারঞ্চলের মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম। ঘন কুয়াশায় পণ্যবাহী দূরপাল্লার ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ফলে জনজীবনের প্রত্যহিক কাজকর্মে ছেদ পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষরা কাজে যেতে পারছেন না। এ ধরনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়শা অব্যাহত থাকলে শীতকালীন শাকসবজির উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং কাঁচা শাকসবজির পচন ধরতে পারে বলে কৃষকদের আশংকা। এমনিতে হরতাল ও অবরোধের কারণে কৃষকের অনেক শাকসবজি নষ্ট হচ্ছে এবং বাইরে যেতে পারছে না।
আবহাওয়া দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে। সকালের দিকে দেশের বিভন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। ৩/৪ দিনের জন্যে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ১৫ জানুয়ারি থেকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ ভর করবে সারা দেশে। এ সময় তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলনিয়াসে নেমে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার ঢাকায়ও প্রচণ্ড শীতে মানুষ জবথবু হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাটেও লোক চলাচল ছিল কম। বঙ্গবাজারসহ মার্কেটগুলোয় গরম কাপড় কেনার ধুম পড়ে যায়। এই শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠাণ্ডাজনিত সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আবহওয়া দফতর জানায়, বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৮। শ্রীমঙ্গলে ৭.৪, রাজশাহী ও ঈশ্বরদিতে ৭.০, রংপুরে ৯.৪, বরিশাল ও ভোলায় ৮.৫ এবং ফরিদপুরে ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button