খেলাফত মজলিস লন্ডন মহানগরের ২০১৪ সেশনের নির্বাচন সম্পন্ন
খেলাফত মজলিস নেতা অধ্যাপক আবদুল কাদির সালেহ বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় সারাদেশের মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে নির্বিকার ভূমিকাই শুধু পালন করছে না, সংখ্যালঘুদের নিয়ে নোংরা রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
গত সোমবার খেলাফত মজলিস লন্ডন মহানগরীর মজলিসে শূরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ এ কথা বলেন।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন এবং ভোটারবিহীন নির্বাচনের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সংখ্যালঘু টার্মকার্ড ব্যবহার করবেন না। বাংলাদেশ যেনতেনভাবে একটা দায়সারা নির্বাচন করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছে। হাস্যকর হলো ভোটকেন্দ্রে জনমানব নেই, কিন্তু ভোট ৪০%। অবৈধ নির্বাচনে জনগণ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে সবার অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। সরকার আজ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে বাকশালী কায়দায় ও স্বৈরাচারী করে কেউ পার পেয়ে যায়নি। জনগণের কথা বুঝতে চেষ্টা করুন।
গত ৬ জানুয়ারি সোমবার ইস্ট লন্ডনস্থ আল হুদা ইসলামিক সেন্টারে খেলাফত মজলিস লন্ডন মহানগরীর ২০১৪ সেশন পুনর্গঠনের জন্য মজলিসে শূরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত শূরায় প্রথম অধিবেশনে ছিল তেলাওয়াতে কালামে পাক, উদ্বোধনী বক্তব্য, বার্ষিক রিপোর্ট পেশ ও পর্যালোচনা, ইহতেসাব, বিদায়ী সভাপতির বক্তব্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর।
লন্ডন মহানগরীর সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শূরার প্রথম অধিবেশন পরিচালনায় ছিলেন শখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আহাদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় শূরার দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও যুক্তরাজ্যের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ। সহকারী কমিশনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সদরুজ্জামান ও অফিস সম্পাদক আব্দুল করিম উবায়েদ।
ওই কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরআন তেলাওয়াত, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্বাচন-পূর্ব বক্তব্য, ২০১৪ সেশনের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন, নির্বাচিত দায়িত্বশীলদের শপথ, নবনির্বাচিত সভাপতির বক্তব্য, হেদায়েতি বক্তব্য ও মোনাজাত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে লন্ডন মহানগরী ২০১৪ সেশনের নির্বাচন, মজলিসে শূরার সদস্যদের উপস্থিতিতে গোপন ব্যলেটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করেন। শূরার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ২০১৪ সেশনের জন্য সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হন মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মাওলানা আব্দুল আহাদ।
লন্ডন মহানগরীর ২০১৪ সেশনের নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে : সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাফিজ মাওলানা সাদিকুর রাহমান, হাফিজ মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা ফজলুর রাহমান, হাফেজ মাওলানা আশ্রাফ চৌধরী, মুহাদ্দিস হুমায়ুন রশিদ নুরী। সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাওলানা আব্দুল আহাদ, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা আব্দুল মালিক, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা জাবির আহমাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রাহমান সাইদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আনিসুর রাহমান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শেখ রুম্মান আহমাদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হুমায়ুন রশিদ রাজী, দাওয়া সম্পাদক মাওলানা নুফাইস আহমাদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল গফুর, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইসবাহ উদ্দীন কামরুল, অফিস সম্পাদক শেখ ফখরুল আবেদীন মুরশেদ, পাঠাগার সম্পাদক হাফিজ হুসাইন আহমাদ। নির্বাহী সদস্য হলেন আলহাজ আজিজুর রাহমান, মাওলানা ফুজায়লে আহমাদ নাজমুল, মাওলানা আব্দুল কাহির, মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন, মাওলানা কাশেম উদ্দীন চৌধরী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা উবাইদুর রাহমান, হাফিজ খলিলুর রাহমান।