বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা ১১টায় তিনি এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাতে বিদেশে বাংলাদেশের পণ্যে নিয়ে বদনাম না হয়।
তিনি বলেন, বিরোধী দলেরর হরতাল-অবরোধের মধ্যেও আমাদের রফতানি বেড়েছে। তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে রফতানি বন্ধ করে দিতে পারেনি। এতো জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যেও রফতানি ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতের হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে আমরা ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করেছি। রবিবার সরকারের শপথ নেয়ার পরই বাকিদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক মাস ধরে যে নাশকতা চলছে কেবল ’৭১ সালে আমরা দেখেছি। বাস-ট্রেনে মলোটভ ককটেল বোমা হামলায় মানুষ মারা হচ্ছে। হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে, অবলা গরুও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। যুদ্ধের সময়ও ওষুধের গাড়ি, সবজির গাড়ি আওতামুক্ত থাকে সে সবও বিরোধী দলের আক্রমণের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্দোলন আমরাও করেছি। কিন্তু মানুষ মেরে আন্দোলন সফল করার চেষ্টা আমরা করিনি। রেলের ফিসপ্লেট খুলে মানুষ হত্যা আপনারা দেখেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে শুরু হলেও এবার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ১০ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, ইরান, চীন, মালয়েশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও সিংঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের পণ্য প্রদর্শিত হবে বলে শুক্রবার বিকাল মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ।
মেলায় লে-আউট প্লান অনুযায়ী বরাদ্দের প্রদানযোগ্য স্থাপনার সংখ্যা ৪৭১টি। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভেলিয়নের সংখ্যা ৯৬টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৪৯টি, স্টলের সংখ্যা ৩১৬টি এবং রেস্তোরাঁ ১০টি।
প্রতিবারের মতো এবারো মেলায় কসমেটিকস, স্টেশনারি, ইলেকট্রনিঙ পণ্য, পাটজাত পণ্য, কার্পেট, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, জুয়েলারি, খেলনা, সিরামিকস পণ্য, মেলামাইন বস্ত্র, আসবাবপত্র, হস্তজাত তৈজসপত্রসহ নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হবে।
এবারের মেলার প্রত্যেক প্যাভিলিয়নে ও স্টলে নির্ধারিত সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।