সিলেটের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ফয়জুল বারী মহিষপুরীর দাফন সম্পন্ন
সিলেটের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন,নয়াসড়ক জামে মসজিদের খতীব, কানাইঘাট দারুল উলুম মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা ফয়জুল বারী মহিষপুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় কানাইঘাট দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে বিপুল সংখ্যক আলেম উলামাসহ সর্বস্থরের জনতার উপস্থিতিতে মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতিকরেন, মরহুমের একমাত্র ছেলে মাওলানা আব্দুল লতিফ। জানাযার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন,
কানাইঘাট দারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষীপুরী, মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকুটি, মাওলানা জিয়া উদ্দীন, মাওলানা আব্দুল গনি হাড়িকান্দি, মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী, মাওলানা মুশতাক আহমদ খান, মাওলানা আলীমুদ্দিন দুর্লভপুরী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা শামসুদ্দিন প্রমুখ। পরে মরহুমের দীর্ঘদিনের কর্মক্ষেত্র দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসার সম্মুখে আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী (র.)এর কবরের পাশেই তাকে অন্তিম শয়ানে সমাহিত করাহয়।
সিলেটের প্রবীণ এই আলেমেদ্বীনের মৃত্যুর খবর মুর্হুতে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকা হতে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন রিজার্ভকরে অসংখ্য বক্ত-অনুরক্ত মরহুমকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য কানাইঘাটে ছুটে যান। তার জানাযায় শরীক হতে বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা অঘোষিত ছুটি ছিল।
উল্লেখ্য যে, শুক্রবার বেলা পৌনে ২ ঘটিকার সময় কানাইঘাট উপজেলাধীন মহিষপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। স্ত্রী, ১ ছেলে , ৮ কন্যাসহ অসংখ্য ছাত্র-ভক্ত অনুরক্ত রেখেযান। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। সিলেটে সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রথম বিভাগে তাকমিল ফিল হাদীস পরীক্ষায় উত্তীর্ণহয়ে কৃতিত্ব অর্জনকরেন। তখনকার উস্তাদগনের মধ্যে অন্যতম হলেন-প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ হাসান, মাওলানা ফৈয়াজ আলী, মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ শায়খে রাজারগাও,আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী, মাওলানা আব্দুর রব কাসেমী, মাওলানা শায়খ আব্দুস সামাদ, মাওলানা মছদ্দর আলী, মাওলানা আবু সাঈদ (র) প্রমুখ। তিনি দারুল উলুম কানাইঘাটে ৭ বছর নাজিমে তালিমাত, প্রায় ২০ বছর মুহতামিম ও শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করেন। সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী নয়াসড়ক জামে মসজিদের খতীব ও নয়া সড়ক দারুল হাদীস টাইটেল মাদ্রাসার শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব ও পালন করেন। পুর্বসিলেটের কওমী মাদ্রাসা সমুহের প্রাচীন তম শিক্ষাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারার সভাপতি ছিলেন। আধ্যাত্মিক ময়দানে তিনিফেদায়ে মিল্লাত হযরত আসআদ মাদানীর এর নিকট থেকে খেলাফত প্রাপ্তহন। ছাত্রজীবনে তিনি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এবং পাকিস্তান আমলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ১৯৭১ সালের পর থেকে মৃত্যু পযন্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলার্ম বাংলাদেশ এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ক্বাঈতুল উলামা হযরত আব্দুল করিম শায়খে কৌড়িয়া, মাওলানা শামসুদ্দিীন কাসেমী, মাওলানা আশরাফ আলী শায়খে বিশ্বনাথী (র.), মাওলানা মহিউদ্দীন খান প্রমুখ উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে তিনি জমিয়তের কর্মতৎপরতা চালিয়ে যান। কানাইঘাট উপজেলার র্দীঘ দিনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জীবনে ৭ বারেরও অধিক পবিত্র হজ্ব পালনকরেন। শোক প্রকাশ: মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন, ভারপ্রাপ্তমহাসচিব সাবেক সাংসদ এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক,সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শায়খ আতাউর রহমান, মাদানী কাফেলার সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী , দক্ষিণ সুরমা যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ প্রমুখ।